সুতা-তুলার কারণে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়: ফায়ার সার্ভিস
নারায়ণগঞ্জ, ২৯ জানুয়ারি – কাপড়, সুতা ও তুলার মতো পোশাক তৈরির কাঁচামাল মজুত থাকার কারণেই জাহিন নিটওয়্যারস পোশাক কারখানার আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস আ্যন্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় অবস্থিত জাহিন টেক্সটাইল নামের একটি রপ্তানিমুখি পোশাক কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এর আগে বিকেল চারটার দিকে ওই পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর একে একে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কারখানাটির বেশিরভাগ বিল্ডিংয়েই কাপড়, সুতা, তুলা জাতীয় জিনিস রয়েছে। এ জাতীয় জিনিসে খুব সহজেই আগুন ধরে যায় এবং দ্রুত ছড়ায়। যখন চারটি ভবন একসঙ্গে জ্বলছিল এটার ভয়াবহতা ছিল অনেক বেশি। আমাদের ফায়ার ফাইটাররা আগুন লাগা চার ভবনের মধ্যে তিনটি ভবনের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। একটি ভবন থেকে কিছু ধোঁয়া এখনো বের হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আগুন লাগার খবর পাই। প্রথম ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এরপর আমাদের সোনারগাঁয়ের ইউনিটও এখানে এসেছে, আশেপাশের এলাকা থেকেও কয়েকটি ইউনিট এসে কাজ করছে। আমরা পৌনে পাঁচটা থেকে কাজ শুরু করি। আগুন পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার পর বলতে পারবো এর সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর নেই জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ বলেন, কেউ নিখোঁজ এমন অভিযোগ আমরা পাইনি। বিল্ডিংগুলো যেহেতু স্টিলের সে কারণে আগুনে এগুলে গলে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। আগুন পুরোপুরি নিভলে আমরা তল্লাশি চালাবো। একইসঙ্গে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করবো। কমিটি দেখবে আগুনটা কীভাবে লেগেছে এবং কীভাবে এক বিল্ডিং থেকে আরেক বিল্ডিংয়ে ছড়িয়েছে।
সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ২৯ জানুয়ারি