ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, বিতর্কে রাম চরণের স্ত্রী
হায়দ্রাবাদ, ২৮ জানুয়ারি – দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার রাম চরণ। ২০১২ সালে উপাসনার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তিনি। অভিনয়ের মানুষ না হলেও অ্যাপোলো হাসপাতালের বোর্ড মেম্বার ও সমাজসেবামূলক কাজের জন্য বেশ জনপ্রিয় রাম চরণের স্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সরব উপাসনা; ইনস্টাগ্রামে তাকে ৩৯ লাখ মানুষ অনুসরণ করে থাকেন।
২৬ জানুয়ারি ছিল ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস। এ উপলক্ষে উপাসনা তার ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে গোপুরাম মন্দিরের একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিটিতে দেখা যায়, মন্দিরের সম্মুখ অংশে দেব-দেবীর পরিবর্তে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে-বসে আছেন। আর ক্যাপশনের শুরুতে উপাসনা লিখেন, ‘এই শিল্পকর্মটির ক্যাপশন দিন।’ এরপরে উপাসনা লিখেন—‘আসুন আরো প্রগতিশীল, সহনশীল একটি জাতি গঠনে সম্মিলিতভাবে কাজ করি। শুভ প্রজাতন্ত্র দিবস।’
নেটিজেনদের অনেকে উপাসনার এ ছবিতে মন্তব্য করে সহমত পোষণ করেন; তাকে শুভেচ্ছাও জানান। কিন্তু নেটিজেনদের একাংশ তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি। প্রাচীন এই মন্দিরের শিল্পমান নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছেন। কমলা দেবী নামে একজন লিখেন, ‘এটা কোনো শিল্পকর্ম নয়। এটা মূল শিল্পকে অপমান করছে…। আমাদের পূর্ব পুরুষের শিল্প আজকের শিল্পের চেয়ে অনেক ভালো ছিল।’ আরেকজন লিখেন, ‘আপনি এর শিল্পীকে পেলে আমাকে জানান। কারণ আপনাদের দুজনকে গোপুরাম মন্দিরের বিষয়ে সঠিক পাঠ দেব। এরকম একটি খারাপ কাজের মধ্যে আপনি শিল্প খুঁজে পেলেন; এই লজ্জার অংশীদার আপনিও।’
অন্যদিকে নেটিজেনদের একটি অংশ দাবি করেছেন—উপাসনা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। কান্তি শেখর নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনি কি অন্য ধর্মের উপাসনালয় নিয়ে এ ধরনের কাজ করতে পারবেন? এখনি আপনার আইডির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করছি।’ নিখিল নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনার আইডির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে সফল হয়েছি। এটি আমাদের সংস্কৃতিকে অপমান করা। অন্য ধর্মের উপাসনালয় নিয়ে কি একই কাজ করতে পারবেন?’
এমন অসংখ্য মন্তব্য ভরে আছে উপাসনার ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামের কমেন্ট বক্স। যদিও এই বিতর্কের বিষয়ে এখনো মুখ খুলেননি উপাসনা।
এন এইচ, ২৮ জানুয়ারি