সংগীত

হাসপাতালে ভর্তি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় করোনা পজিটিভ

কলকাতা, ২৭ জানুয়ারি – আজ দুপুরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। গতকাল তার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হয়েছিল; সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট। আজ সকালে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে লেক গার্ডেন্সের বাড়ি থেকে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ দুপুর ১টা ২০ মিনিটে এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয় এই গায়িকাকে। এসএসকেএমে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় এ শিল্পীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের এক সদস্য সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, বুধবার রাত থেকেই ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করেননি শিল্পী। জ্বর বাড়ছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। তা ছাড়া গতকাল বাড়িতে পড়ে গিয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান গায়িকা।

ভারতে প্রতিভাবান ব্যক্তিত্বদের একাধিক সম্মান দেওয়া হয়। যার মধ্যে পদ্মশ্রী অন্যতম, এই সম্মান পাওয়া এক গর্বের বিষয়। কিন্তু এবার এই সম্মানকে প্রত্যাখান করেছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।

৯০ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পী ইতিমধ্যে গীতশ্রী সম্মান পেয়েছেন। বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। গানের জন্য জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে সম্মানিত করতে চেয়েছিল ভারতীয় সরকার। কিন্তু এই পুরস্কার তাঁর পাওয়ার কথা ছিল হয়তো আরো আগেই।

জানা গেছে, অত্যন্ত অপমানিত এবং অসম্মানিত বোধ করে পদ্মশ্রী সম্মান প্রত্যাখান করেছেন তিনি। কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, এই পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার আগে থেকে তাকে কিছু জানায়নি। হঠাৎ ফোন করে তার কাছে যেভাবে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে সেটা তাঁর কাছে যথেষ্ট অপমানজনক মনে হয়েছে।

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ভাষায়—‘এভাবে কেউ পদ্মশ্রী দেয়? এরা জানে না আমি কে! নব্বই বছর বয়সে আমায় পদ্মশ্রী নিতে হবে? আর এই ফোন করে বললেই চলে যাব আমি? শিল্পীদের কোনো সম্মান নেই আর।’

এন এইচ, ২৭ জানুয়ারি

Back to top button