জাতীয়

ইসি নিয়োগের আইন আরেক ‘তামাশা’: খন্দকার মোশাররফ

ঢাকা, ২২ জানুয়ারি – নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকার প্রণীত খসড়া বিলটি ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য আরেকটা তামাশা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে উত্থাপনের প্রাক্কালে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। ফাউন্ডেশনের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আইন কী হবে? যারা গায়ের জোরে সরকার, যারা জনগণের সরকার নয়; তারা একটা আইন পাস করবে। তারপরে কী করবে? ওই আইন মোতাবেক একটি সার্চ কমিটি করতে হবে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী যে লিস্ট দেবেন, ওই সার্চ কমিটি সেই লিস্টটা প্রেসিডেন্টকে দেবেন। প্রেসিডেন্ট সেটা ঘোষণা করবেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য এটা আরেকটা তামাশা। এর আগে সরকার রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করিয়ে নাটক করেছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘আমরা অনেক আগেই ঘোষণা দিয়েছি যে, এই অবৈধ ও ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে আর কখনও কোনোদিন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। তাই বিএনপি সেই নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান যে নাটকগুলো চলছে এগুলো অর্থহীন। কেননা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। অতীতে দুটি নির্বাচন কমিশন সেটার প্রমাণ রেখে গেছে।’

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘অতত্রব জনগণ চায়, আমরা চাই এদেশের যে সংকট বাংলাদেশ যে বিদেশে লজ্জারপাত্র হয়েছে, বাংলাদেশে বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি যে ভুলুণ্ঠিত হয়েছে, হচ্ছে-তার কারণ কী? শুধু এর জন্য দায়ী বর্তমান? তারা গায়ের জোরে টিকে থাকার জন্য এগুলো করছে।’

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে একটাই পথ সরকারকে হটাতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার হবে। এরপর জনগণ তার ইচ্ছা মতো ভোট দিয়ে তাদের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।’

জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হলে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এই লক্ষ্যে আজকে এ্রখানে যে যেই অবস্থানে আছেন সকলে ঐক্যবদ্ধ হোন। কোনো স্বৈরাচারী সরকার নিজের ইচ্ছায় সরে যায় না। তাকে হয় গণআন্দোলনে অথবা এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। সেই কাজটি আমাদের করতে হবে।’

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সূত্র: আরটিভি
এম ইউ/২২ জানুয়ারি ২০২২

Back to top button