মধ্যপ্রাচ্য

ইয়েমেনে বন্দিশিবিরে বিমান হামলায় নিহত ৭০

সানা, ২২ জানুয়ারি – ইয়েমেনের একটি বন্দি শিবিরে ভয়াবহ বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৭০ জন নিহত ও ১৩০ জন আহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা ডক্টরস উইথআউট বর্ডারস (এমএসএফ) এই খবর জানিয়েছে।

দেশটির উত্তরাঞ্চলে বিদ্রোহীদের ওপর সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনীর অভিযান বাড়তে থাকার মধ্যে এ বিমান হামলা হল।

ওদিকে, হোদাইদা বন্দর নগরীতেও শুক্রবার সকালের দিকে একটি টেলিযোগাযোগ ভবনের ওপর আরেক বিমান হামলায় দেশজুড়ে ইন্টারনেট বিভ্রাট দেখা দেওয়ার খবর জানিয়েছে নেটব্লকস সংগঠন।

‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ জানায়, এই বিমান হামলায় তিন শিশু নিহত হয়েছে। ভবনের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে শিশুরা খেলার সময় বিমান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তারা মারা যায়।

এই হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনীকে দায়ী করেছে। সিএনএন এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য কোয়ালিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে হুতিরা উৎখাত করার পর সেই সরকার আবার পুনর্বহাল করতে ২০১৫ সাল থেকে দেশটিতে হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন।

হুতিরা গত সোমবার আবুধাবিতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করলে সংঘাত নতুন মাত্রা পায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে ইয়েমেনে চলল এই বিমান হামলা।

হুতি পরিচালিত গণমাধ্যম আল-মাসিরা শুক্রবার উত্তরাঞ্চলের সাদা নগরীর বন্দিশিবিরে হামলার পর ধ্বংসস্তুপের নিচে মানুষ চাপা পড়ে থাকার ভিডিও দেখিয়েছে।

দুটো হাসপাতালে হতাহত অসংখ্য মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানে জরুরি চিকিৎসা সরবরাহ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেডক্রস।

ইয়েমেনে ডক্টরস উইথআউট বর্ডারস (এমএসএফ) মিশনের প্রধান আহমাদ মহত বলেন, “সাদা নগরীতে সহকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি, বিমান হামলাস্থলে এখনও বহু লাশ পড়ে আছে। তাদের সংখ্যা কত তা জানা অসম্ভব। সেখানে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলেই মনে হচ্ছে।”

তিনি বলেন, সাদা নগরীতে এমএসএফ সহায়তা দিচ্ছে এমন একটি হাসপাতালে এত আহত মানুষ ভর্তি হয়েছে যে সেখানে আর স্থান সংকুলান করা যাচ্ছে না। নগরীর আরও দুটো হাসপাতালেও বহু আহত মানুষ ভর্তি হচ্ছে।

ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে ত্রাণ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছে নরওয়ে শরণার্থী কাউন্সিল। ওদিকে, ত্রাণকর্মীরা সিএনএন কে বলেছেন, ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে ত্রাণ সংগঠনগুলো বিমান হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হিমশিম খাচ্ছে।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ২২ জানুয়ারি

Back to top button