অনশন ভাঙাতে না পেরে ফিরে গেলেন শাবিপ্রবির তিন শতাধিক শিক্ষক
সিলেট, ২০ জানুয়ারি – শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে এবার অনশনে বসেছেন ২৪ শিক্ষার্থী। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে রাত পৌনে ৯টায় প্রায় তিনশতাধিক শিক্ষকের একটি প্রতিনিধিদল কর্মসূচি স্থলে উপস্থিত হন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে চেষ্টা চালান তারা। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় কোনো কথা বলারই সুযোগ পাননি শিক্ষকরা। এমনকি রিকশাযোগে নিয়ে আসা শিক্ষকদের মাইকও কর্মসূচিস্থলে প্রবেশ করতে দেননি শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথা বলতে চাইলে তারা শর্ত জুড়ে দেন।
আন্দোলনে সমর্থন আছে কি না জানতে চেয়ে শিক্ষার্থীরা ‘ইয়েস অর নো’ স্লোগান দিতে থাকেন। আর কোনো কথা না শুনতে তারা স্লোগান দিতে থাকেন।
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষকরা হ্যান্ড মাইক দিয়ে বারবার কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের স্লোগানের আওয়াজে তাদের কথা অস্পষ্ট হয়ে যায়। পরে বাধ্য হয়ে কর্মসূচি স্থল ত্যাগ করেন শিক্ষকরা।
পরে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এসেছিলাম আমাদের শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে। তাদের কাছে সে সময়টুকু চেয়েছি যেন এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত সেটা খুঁজে বের করতে পারি। শিক্ষার্থীরা বলছে উপাচার্যের নির্দেশে হামলা হয়েছে। তদন্তে যে দোষী হবে সে দায় নেবে। আমরা চাই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হোক। সরকার ও সিলেটের নেতৃবৃন্দ এখানে সম্পৃক্ত। যার নির্দেশে হামলা হয়েছে, সেখানে উপাচার্যসহ যেই জড়িত থাকুক তাকে দায় নিতে হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমাদের ওই সুযোগটা দেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদের বোঝাতে আবারও চেষ্টা করবো। তা না হলে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবো।
সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ২০ জানুয়ারি