পশ্চিমবঙ্গ

২২ জানুয়ারির ভোট পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি, জানিয়ে দিল কমিশন

কলকাতা, ১৬ জানুয়ারি – পিছিয়ে গেল চার পুরসভার ভোট। আগামী ২২ জানুয়ারি চার পুরসভার ভোট ছিল বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি এবং আসানসোলে। কিন্তু রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবেই ভোট পিছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য নির্বাচনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে এই চার পুরসভায়।

ভোটের দিন পিছিয়ে ঘোষণা করা হলেও গণনার দিন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্বাচন কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়নি। কমিশন জানিয়েছেন, আদালতকে সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভোট পিছানোর সিদ্ধান্ততে আদৌতে নৈতিক জয় দেখছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না পরিস্থিতি ঠিক হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ভোটের কোনও প্রশ্নই আসেনা। অনির্দিষ্টকালের জন্যে ভোট পিছিয়ে দেওয়া উচিৎ বলে মত রাহুলের। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের কারনেই কলকাতায় করোনার এত সংক্রমণ বলেও মনে করেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। সরকার ভোট নিয়ে এত ব্যস্ত ছিল যে করোনাতে আর খেয়াল করেনি সরকার। আর এই কারনে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের এই হাল বলেও দাবি রাহুল সিনহার। তবে ভোট ঘোষণার পরেই পিছানোর দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি সহ বিরোধীরা। সেখানে কার্যত তোপের মুখে পড়তে হয় কমিশনকে। নির্বাচন ৪-৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা তাও বিবেচনা করে দেখতে ৪৮ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়। শুক্রবার হাইকোর্টে যে রায় দিয়েছিল, তাতে স্পষ্ট হয়ে যায়, কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট করানো কিংবা তা স্থগিত করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই। যদিও সেই সিদ্ধান্ত ‘স্বাধীন’ ভাবে নিতে পারেনি কমিশন। যদিও আজ পুরভোট পিছনো নিয়ে রাজ্যের অনুরোধের পর শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্ত জানাল কমিশন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভোট পিছিয়ে দিয়ে সায় দেয় রাজ্য সরকার। চিঠিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রস্তুত। তবে ভোট পিছিয়ে দিলে আপত্তি নেই। আর এরপরেই কার্যত কমিশনের ততরফে ভোট পিছানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। অন্যদিকে কমিশন স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, করোনা অবস্থায় প্রচার নিয়ে যে বিধি নিষেধ জারি ছিল তা বজায় থাকবে। আগের নিয়ম অনুযায়ীই ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হবে বলেও কমিশনের সচিব জানিয়েছেন। দেরিতে হলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এহেন সিদ্ধান্তে খুশি বিরোধী শিবির।

এন এইচ, ১৬ জানুয়ারি

Back to top button