ব্যক্তিত্ব

আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ঘরে আনুন পোষাপ্রাণী

আপনি কি বিড়াল পুষতে ভালবাসেন? বিড়াল কিন্তু চমৎকার মিষ্টি একটি প্রাণী। অথবা হয়ত আপনি ভালবাসেন পাখি পুষতে। পোষাপ্রাণী হিসেবে আপনার পছন্দ যাই হোক না কেন এরা কিন্তু আপনার মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে! অবাক হচ্ছেন? আমরা বলি বোবা প্রাণী। কিন্তু সময়ে সময়ে এরাই হয় সবচেয়ে উপকারী বন্ধু। জেনে নিন এই তথ্যগুলো-

স্ট্রেস কমায়
স্ট্রেস কমাতে পোষাপ্রাণীর চাইতে দারুণ সঙ্গী আর হয় না। বিড়ালের সাথে খেলা করে দেখুন। কিছু সময় ভূলে যাবেন সব জাগতিক চিন্তা। সে আপনাকে খেলায় এমন ব্যস্ত করে রাখবে যে আপনি সব স্ট্রেস ভুলে ফ্রেশ বোধ করতে শুরু করবেন।

আত্মবিশ্বাসী করে তোলে
আরেকটি মার্কিন গবেষণায় দেখা গেছে, পোষা প্রাণীরা বাড়িয়ে তোলে আমাদের আত্মবিশ্বাস। যারা প্রাণী পোষেন না, তাদের তুলনায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হন প্রাণী পালনকারীরা। কারণ, পোষাপ্রাণীটি আপনার ভক্ত। সে সারাক্ষণ জানায় সে আপনাকে ভালবাসে। নিঃস্বার্থ এই ভালবাসা আপনার মনে প্রভাব ফেলে ইতিবাচকভাবে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ৪ হাজার লোকের ওপর ২০ বছর ধরে চলা এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিড়াল পুষলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। বিড়াল পালনকারীদের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকেন তারা, যারা বিড়াল পোষেন না।

উপকারী প্রাণী
বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় যদি কারও হার্ট অ্যাটাক হয়, অনেক সময়ই দেখা গেছে পোষা প্রাণীরা নানাভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। এভাবে তারা প্রাণও বাঁচিয়েছে। কুকুর পোষাপাণী হিসেবে অনেক বাড়িকে দেয় সুরক্ষা। তাই বিশ্বস্ত প্রাণী হিসেবে এরা স্বীকৃত।

উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য সেরা বন্ধু হল কুকুর। বলা হয়, কুকুরদের আদর করলে রক্তচাপ অনেকটাই কমে যায়। ঠিক এই কারণে বিদেশের অনেক হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গী হিসেবে কুকুর রাখা হয়।

সুস্বাস্থ্য
অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি এবং চীনে হওয়া পৃথক পৃথক গবেষণায় দেখা গেছে, পোষা প্রাণী বাড়িতে থাকলে মানুষের অসুস্থতা অনেক কমে যায়। কারণ পোষা প্রাণীটি আপনাকে নানান ওয়ার্কআউট করতে বাধ্য করে। তার সাথে খেলাধূলা করা, বাইরে হাঁটতে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি কাজ আপনাকে করতেই হবে।

ওজন কমে
অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা বলছেন, কুকুর পোষার কারণে মানুষের ওজনও ঠিক থাকে। যারা কুকুর পোষেন, তাদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে কুকুর নিয়ে হাঁটতে যেতে হয়, ফলে ব্যায়ামটা হয়েই যায়।

দুঃখ ভুলতে সাহায্য করে
চারপেয়ে বন্ধুরা মানুষকে মৃত্যু শোক এবং দুশ্চিন্তা কাটাতেও সাহায্য করে। বয়স্কদের ওপর চালানো এক মার্কিন গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনসঙ্গীর মৃত্যুর পর হতাশা কাটাতে পোষা প্রাণীরাই সাহায্য করে সবচেয়ে বেশি।

বাচ্চার খেলার সাথী
অনেকেই বাচ্চাদের কারণে প্রাণী পুষতে চান না। কিন্তু সত্য কথা হল, যেসব বাচ্চারা প্রাণীদের সঙ্গে বড় হয়,বিশেষ করে কুকুরের সঙ্গে, তাদের অ্যালার্জির বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠে।

লিখেছেন- আফসানা সুমী

এম ইউ

Back to top button