সচেতনতা

পেপটিক আলসার কেন হয়, কীভাবে বুঝবেন?

আলসার একটি জটিল রোগ। যেটি রোগীকে দীর্ঘসময় ভোগায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে এবং জীবন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনলে এই রোগ থেকে সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের বৃহদান্ত্র ও পায়ুপথ সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক।

গ্যাস্ট্রিক বা আলসার নামটির সঙ্গে পরিচিত নন এমন লোক খুঁজে বের করা কঠিন হবে। সাধারণ লোকজন গ্যাস্ট্রিক বা আলসার বলতে যা বুঝিয়ে থাকেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে পেপটিক আলসার বলা হয়।

পেপটিক আলসার কেন হয়

* রোগ-জীবাণু : হেলিকোবেক্টার পাইলোরি নামক এক প্রকার অনুজীব এ রোগের জন্য বহুলাংশে দায়ী।

* বংশগত : নিকটতম আত্মীয়-স্বজন এ রোগে ভুগে থাকলে তাদের পেপটিক আলসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ তাদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।

* ধূমপান : ধূমপায়ীদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।

* ওষুধ: ব্যথানাশক ও স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সাধারণত যে কথাটা প্রচলিত ভাজা-পোড়া কিংবা ঝাল জাতীয় খাবার খেলে পেপটিক আলসার হয়। এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ চিকিৎসা বিজ্ঞানে মেলেনি। যারা নিয়মিত খাবার খান না না কিংবা দীর্ঘ সময় উপোস থাকেন তাদের মধ্যে পেপটিক আলসার দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসা

*পেপটিক আলসারে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই ধূমপান বন্ধ করতে হবে।

*ব্যথানাশক ওষুধ ও এসপিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন থেকে যথা সম্ভব বিরত থাকতে হবে এবং নিয়মিত খাবার খেতে হবে।

*পেপটিক আলসারের রোগীরা সাধারণত এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ফেমোটিডিন, ওমিপ্রাজল, লেনসো প্রাজল, পেনটো প্রাজল জাতীয় ওষুধ সেবনে উপকৃত হন।

*জীবাণুজনিত কারণে যদি এ রোগ হয়ে থাকে তবে বিভিন্ন ওষুধের সমন্বয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এন এইচ, ০৯ জানুয়ারি

Back to top button