কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় ১১ ইউনিয়নের ১০টিতেই স্বতন্ত্রের জয়

কুষ্টিয়া, ০৬ জানুয়ারি – পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নৌকার চরম ভড়াডুবি হয়েছে। কুষ্টিয়া সদরে ১১ ইউনিয়নের মধ্যে স্বতন্ত্র ১০ ও আওয়ামী লীগ ১টিতে বিজয়ী হয়েছে। ১০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ৮ জন আওয়ামী লী লীগের বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।

বুধবার উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে নির্বাচনী কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে বেসরকারিভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে লাল্টু রহমান, উজানগ্রাম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে সানোয়ার হোসেন মোল্লা, মনোহরদিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে জহুরুল ইসলাম জহুর, হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মটরসাইকেল প্রতীকে মেহেদী হাসান সম্রাট, আইলচারা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে সিদ্দিকুর রহমান, হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মটরসাইকেল প্রতীকে এম মোস্তাক হোসেন মাসুদ, ঝাউদিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকে মেহেদী হাসান, আলামপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকে আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস,বটতৈল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে মিজানুর রহমান মিন্টু ফকির, আব্দালপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মটরসাইকেল প্রতীকে আলী হায়দার স্বপন ও পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে রোকনুজ্জামান কানু বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

সকাল ৮টায় কঠোর নিরাপত্তায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার এই ১১ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মোট ১১৬ কেন্দ্রে এই ভোটগ্রহণ হয়েছে। নানা শংকা থাকলেও সকাল থেকেই তীব্র শীত, কুয়াশা উপেক্ষা করে কেন্দ্রগুলোতে ভোটাররা উপস্থিত হয়। অন্য নির্বাচনগুলো থেকে এই নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি অনেক বেশি ছিলো।

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে ছিলো। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সহিদুর রহমান বলেন, একটা উৎসব মুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি প্রসঙ্গে আব্দালপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আরব আলী বলেন, সামাজিক দল শক্তিশালী হওয়ায় এমন ফলাফল হয়েছে। এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন সামাজিক দলে দুইভাগে বিভক্ত। এখানে জাতীয় রাজনীতির প্রভাব তেমনটা কাজে আসেনি।

নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ের বিষয়টি বিপর্যয় হিসেবে দেখছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী। তিনি বলেন, সঠিক সমন্বয় করে কাজ করলে এমন বিপর্যয় হতো না। আজগর আলী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের যার যে দায়িত্ব তা ঠিকমতো পালন করেনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা কুষ্টিয়া সদরে আওয়ামী লীগ এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। কিন্তু সমন্বয়ের অভাবেই এমন ফলাফল হয়েছে।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ০৬ জানুয়ারি

Back to top button