জাতীয়

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে যা জানালো বিএনপি

ঢাকা, ০৫ জানুয়ারি – নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপের চিঠি পেয়েছে বিএনপি। বেলা আড়াইটার দিকে বঙ্গভবন থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতির ওই চিঠি রিসিভ করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী। আজ বুধবার তিনি এই চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হয়েছে।’

এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সংলাপকে ‘অর্থহীন’অভিহিত করে এই সংলাপে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ওই ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত গত ২৯ ডিসেম্বর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানানো হয়।

কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ২০ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের শুরু করেন। জাতীয় পার্টি, জাসদ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, তরিকত ফেডারেশ, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিএনএফ, ইসলামী ঐক্যজোট, গণফোরাম ও বিকল্পধারা বাংলাদেশসহ নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ করছে। বিএনপি ছাড়াও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি,সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সংলাপে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ছিল, বিগত দুইটি নির্বাচন কমিশন গঠনের পূর্বে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে নিবন্ধণকৃত রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়ে তাদের মতামত দিয়েছিল। বিএনপি মনে করে, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ব্যতীত নির্বাচন কমিশনের গঠন নিয়ে সংলাপ শুধু সময়ের অপচয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলীয় সরকার বহাল রেখে নির্বাচন কমিশন কখনোই স্বাধীন, নিরপেক্ষ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে না।

বিএনপি বিশ্বাস করে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ব্যতিরেকে সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কোনো নির্বাচন কমিশনই অনুষ্ঠান করতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি নিজেই বলেছেন তার কোনো ক্ষমতা নেই পরিবর্তন করার। সেই কারণে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ কোনো ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারবে না। বিএনপি ‘অর্থহীন’ কোনো সংলাপে অংশগ্রহণ করবে না।

সূত্র : আমাদের সময়
এন এইচ, ০৫ জানুয়ারি

Back to top button