পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ রেখে দিলেন এবাদত
ওয়েলিংটন, ০৫ জানুয়ারি – এমন একটি ভোর আসবে, স্বপ্নেও ছিল না। বিশেষ করে ২০২১ সালের শেষটা যেভাবে হ-য-ব-র-ল অবস্থার মধ্য দিয়ে কেটেছে, তাতে করে ২০২২ সালে এমন স্বপ্নের শুরু কেউ কল্পনাই করতে পারেনি। অথচ টাইগার ক্রিকেটাররা সেই স্বপ্নের জগতেই নিয়ে গেলো বাংলাদেশের মানুষকে।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদেরকেই ৮ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়ে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। নিঃসন্দেহে এই ম্যাচের সেরা ফাস্ট মিডিয়াম এবাদত হোসেন। দীর্ঘদেহী এই পেসার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংটা করেছেন মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে, নিয়েছেন ৬ উইকেট।
ম্যাচের বিচারকদের দৃষ্টিতেই সেরার পুরস্কার জিতে নিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এই সদস্য। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে সব সাফল্যের জন্য শুরুতেই আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবাদত। এরপর জানিয়ে দিলেন, কোন প্রত্যয় নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচটি খেলতে নেমেছিলেন।
এবাদত বলেন, ‘প্রথমে ধন্যবাদ জানাতে চাই আল্লাহকে। দ্বিতীয়ত, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আমাদের দল ২১ বছর ধরে কোনো ম্যাচ জেতেনি। এবার একটা লক্ষ্য ঠিক করে এসেছিলাম। নিজেদের হাত তুলেছি, আর বলেছি তারা টেস্ট চ্যাম্পিয়ন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তাদের হারানোর উদাহরণ রেখে যেতে হবে।’
সেই উদাহরণটা সৃষ্টি করে ফেললেন এবাদতরা। তো কিভাবে এমন বোলিং করাটা তার পক্ষে সম্ভব হয়েছে? এই সাফল্যের রহস্য কী? জানতে চাইলে কিছুটা আক্ষেপ এবং কিভাবে তারা নিজেদের তৈরি করেছেন সেটাও জানালেন। আক্ষেপটা মূলতঃ ঘরের মাঠে সহায়ক উইকেট না পাওয়া।
এবাদত বলেন, ‘গত দুই বছরে ওটিস গিবসনের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। ঘরের মাঠে কন্ডিশন সবসময় ফ্ল্যাট থাকে। আমরা এখনো বাইরে কিভাবে বল ও রিভার্স করতে হয় সেটা শিখছি। আমার সাফল্যের জন্য কিছুটা ধৈর্যও ধরতে হয়েছে।’
রান বেশি দেন, সাফল্য নেই- এমন কত সমালোচনাই শুনতে হয়েছে এর আগে এবাদত হোসেনকে। সে সব গায়ে না মেখে নিজেকে তৈরি করে গেছেন তিনি। যার সাফল্য পেলেন এবার, বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় এনে দিয়ে।
সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ০৫ জানুয়ারি