ক্রিকেট

কোহলির অধিনায়কত্ব চলে যাওয়ায় খুশী রবি শাস্ত্রী

নয়াদিল্লী, ২৮ ডিসেম্বর – টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ান বিরাট কোহলি। এরপর কোহলির ওয়ানডে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দায়িত্বে কোহলি না থাকায় খুশী ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী।

ওয়ানডে থেকে কোহলির অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়ায় ভারতের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ক্ষুব্ধ। তবে খুশী হয়েছেন শাস্ত্রী।

তিনি জানান, ‘সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব চলে যাওয়ায় বিরাটের জন্যই ভাল হয়েছে। এতে আরও ভাল করে নিজের ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করতে পারবেন কোহলি।’

দীর্ঘদিন কোহলির সাথে কাজ করা কোচ শাস্ত্রী বলেন, ‘এতে ভালই হবে। এটা কোহলি ও রোহিতের পক্ষে শাপে বর হয়েছে। কারণ, একজনের পক্ষে তিন ধরনের ক্রিকেটে মন দেওয়া কঠিন ব্যাপার। সে ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের সুরক্ষাবিধি মেনে তাকে পুরো বছরের বেশির ভাগ সময়েই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোহলি লাল বলের ক্রিকেট খেলায় মনোনিবেশ করুক। যতদিন সম্ভব টেস্ট ক্রিকেটে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে যাক। আগামী ৫-৬ বছর কোহলির কাছ থেকে ভাল পারফরমেন্স পাওয়া যাবে আশা করছি। টেস্ট দল নিয়ে সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে মন দিতে পারবে সে।’

ওয়ানডে ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব নিয়ে বিসিসিআইর সাথে ঠাণ্ডা লড়াইও হয়েছে কোহলির। বিসিসিআই সভাপতি বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছিলো কোহলিকে। কিন্তু কোহলি জানান, টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব নিয়ে বোর্ড তার সাথে কোন কথা বলেনি।

এ ব্যাপারে শাস্ত্রী বলেন, ‘কোহলি তার বক্তব্য জানিয়েছে। এবার বিসিসিআই সভাপতি তার বক্তব্য জানিয়ে দিক। দু’পক্ষের বক্তব্য জানা গেলে এই ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে।’

কোহলি ও বোর্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির ইস্যুতেও কথা বলেন শাস্ত্রী। টেস্ট ক্রিকেট থেকে ধোনির অবসর নিয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘বহুদিন ধরেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরিকল্পনায় ছিলেন ধোনি। তিন ফরম্যাটে খেলার ধকল নিতে পারছিলেন না। তার শরীর তিনটি ফরম্যাটে খেলার অবস্থায় ছিলো না। সাদা বলের ক্রিকেট দীর্ঘদিন খেলার জন্যই টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ধোনি।’

ধোনির অবসরে দলের সকলেই হতাশ হয়েছিলেন বলে জানান শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ধোনি আমার কাছে এসে জানিয়েছিল, ছেলেদের কিছু বলার আছে। আমি ভেবেছিলাম ম্যাচের ব্যাপারে হয়তো কিছু বলবে। কিন্তু সে ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসার পর ক্রিকেটারদের চোখ-মুখ ছোট হয়ে গিয়েছিল।’

সূত্র : একুশে
এম এস, ২৮ ডিসেম্বর

Back to top button