ঢালিউড

পপি আসলে কোথায় আছেন

ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর – পপির একজন প্রযোজক রোববার এ রিপোর্টারের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে পপির কথাও টেনে আনেন। কারণ পপি তার একটি ছবির কাজ অসমাপ্ত রেখেই ডুব দিয়েছেন। কোথায় তিনি উল্লেখ করে উক্ত প্রযোজক অভিনেতা বলেন, ‘পপির বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। সে আমাকে দিয়ে তার ব্যক্তিগত কিছু কাজও করিয়ে নিয়েছে। আমরা যে ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতাম সেটিও এখন বন্ধ। নিশ্চয়ই বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য সে অন্য কোনো নাম্বার ব্যবহার করে।’ তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত পপি এখন মালয়েশিয়া তার স্বামীর কাছে আছে। তার যে একটি পুত্র সন্তান হয়েছে সেটাও আমি জানি।’ কিভাবে জানেন বা কিভাবে তিনি আড়ালে থাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একজন নায়িকা সম্পর্কে এতোটা নিশ্চিত হয়ে কথা বলতে পারছেন, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি। যার কাছ থেকে শুনেছি তিনি আমার নির্ভরশীল সোর্স।’ শোনা কথার উপরই তিনি নিশ্চিত হয়ে গেলেন।

কিছুদিন আগে একটি সংবাদে লেখা হলো, তার সন্তানটি জন্ম নিয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে একজন গণমাধ্যমকর্মীর স্ত্রী চাকরী করেন। তিনিই খবরটি দিয়েছেন। কিন্তু কে সেই গণমাধ্যমকর্মী বা তার স্ত্রীই কে – তিনি কি ডাক্তার, নাকি নার্স- সে সব কিছুই বলা হয়নি। বিয়ের কাবিননামা কেউ সংগ্রহ করতে পারেননি, অথচ তিনি সন্তানের জননী হয়ে গেলেন। বলা হয় তার স্বামী মালয়েশিয়া থাকেন। তিনি কে – তার পরিচয়টাও কেউ দিতে পারেননি। ইউনাইটেড হাসপাতালে পপির সন্তান হয়েছে শোনার পর গণমাধ্যমকর্মীরা ছুটে গেছেন। সেখানে প্রশাসনিক বিভাগ ‘লগ বুক’ চেক করে বলেন, গত তিন বছরেও পপি তাদের হাসপাতালে যাননি। তখনই সবাই বুঝে গেছেন সংবাদের ভিত্তি কতটুকু।

সুতরাং শোনা কথার উপর ভিত্তি করে কারো সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। উক্ত প্রযোজক বলেন, ‘পপি বিয়ে করলেও আমার কিছু আসে যায় না। পপি জননী হলেও আমার কিছু আসে যায় না। এখন পপিকে বাদ দিয়েই আমি ছবির কাজ শেষ করার কথা ভাবছি এবং সেটা হবে অতি শিগগিরই।’

এম ইউ/২৭ ডিসেম্বর ২০২১

Back to top button