পশ্চিমবঙ্গ

আটকেই রইল হাওড়ার ভোট! বাকি ৪ পুরনিগমে ভোটদান ২২ জানুয়ারি, ফল ঘোষণা ২৫ তারিখ

কলকাতা, ২৭ ডিসেম্বর – হাওড়াকে বাদ দিয়েই আপাতত পুরনিগমের ভোট। জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। মঙ্গলবার এই ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগরে ভোট হচ্ছে ২২ জানুয়ারি। এবারও সব বুথে থাকছে সিসিক্যামেরা।

২৫ জানুয়ারি ভোটের গণনা। ২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে। পুনর্নির্বাচনের দাবি থাকলে তা ২৪ জানুয়ারি হবে। সোমবার থেকেই জারি হয়ে গেল আদর্শ আচরণ বিধি। শুধুমাত্র যেখানে ভোট হবে সেই পুরনিগম এলাকায় আদর্শ আচরণ বিধি বলবৎ থাকবে।

শিলিগুড়িতে মোট ৪৭টি ওয়ার্ড। পোলিং স্টেশন ৪২১টি। ভোটার ৪,০২,৮৯৫। চন্দননগর পুরনিগমে মোট ৩৩টি ওয়ার্ড। ১৬৯টি পোলিং স্টেশন। ভোটার সংখ্যা ১,৪৪,৮৩৯। বিধাননগরে ৪১টি ওয়ার্ডে ভোট হবে। ৪৬৮টি পোলিং স্টেশন। ভোটার ৪,৪৬,৬৪০। আসানসোল পুরনিগমে ১০৬টি ওয়ার্ড। পোলিং স্টেশন ১০২০। ভোটার সংখ্যা ৯,৪২,০৮৮।

১ নভেম্বর ২০২১ সালের (১.১১.২১) ভোটার তালিকা অনুযায়ী নির্বাচন হবে। ভোট হবে ইভিএমে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ জানুয়ারি ২০২২। স্ক্রুটিনি ৪ জানুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ৬ জানুয়ারি। কোথাও পুনর্নির্বাচন হলে তা হবে ২৪ জানুয়ারি। ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ভোটপর্ব সমাপ্ত হবে।

১ নভেম্বরের তালিকা অনুযায়ী ভোট হলে জানুয়ারিতে যিনি ভোটার হবেন তাঁরা তালিকাভুক্ত হবেন না। এ বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস বলেন, “আইন মোতাবেক আমি নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তালিকাকেই গ্রহণ করতে পারি।” এই ভোটার তালিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিরোধীদের দাবি, ৫ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে। কেন কিছুদিন অপেক্ষা না করেই ভোট করাচ্ছে কমিশন। এতে প্রচুর ভোটার বঞ্চিত হবেন বলেও দাবি তোলে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি।

অন্যদিকে হাওড়ার ভোট যে এবারও ঝুলে রইল তাও স্পষ্ট। এখনও হাওড়া বিলে সই করেননি রাজ্যপাল। ফলে এ ভোটের জট যে কবে কাটবে তা কেউ জানে না। এ প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের প্রতিক্রিয়া, “আগে রাজ্যই বলেছিল পাঁচ পুরনিগমে ভোট হবে। আমরা তাতে সম্মতি দিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হাওড়া নিয়ে রাজ্য সরকার কিছু জানায়নি। তাই হাওড়া নিয়ে এখনই বলতে পারছি না। যদি কাল এসে যায়, কাল আবার ধরব।”

এদিন পুরভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সর্বদল বৈঠক ছিল। মাঝপথে সেই বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে যায় সমস্ত বাম শরিক দল। অন্যদিকে কংগ্রেস, বিজেপিও এই বৈঠক বয়কট করে সোমবার। এদিন ১১১টি পুরসভার ভোট প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল যাতে এক চেটিয়া ভোট করতে পারে সেই কারণে এই ভাবে নির্বাচন করতে চাইছে।

বিজেপির বক্তব্য, হাওড়া পুরসভাকে বাদ দিয়েই নির্বাচন করতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই কারণেই তারা বৈঠক থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে বামেদের বক্তব্য, পাঁচটা পুরনিগমের ভোট একসঙ্গে ২২ জানুয়ারি হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে চারটে পুরনিগমে ভোট হবে। হাওড়াকে বাদ রাখছে কমিশন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই এদিনের বৈঠকই বয়কট করে তারা।

সূত্র: টিভি নাইন
এম ইউ/২৭ ডিসেম্বর ২০২১

Back to top button