ফ্রান্সে একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ শনাক্ত
প্যারিস, ২৬ ডিসেম্বর – বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এর মধ্যে নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’। ‘ওমিক্রন’ আতঙ্কে বড়দিনের উৎসবেও সপ্তাহজুড়ে বিশ্বের সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ফ্রান্সে একদিনে রেকর্ড ১ লাখ ৪ হাজার ৬১১ জনের দেহে করোনা জীবাণু শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, দেশটিতে করোনা সংক্রমণের এ পরিস্থিতি নিয়ে ভাবনায় পড়েছে সরকার। এমন পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনায় করছেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও তার সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে, ক্রিসমাস উপলক্ষে শনিবার ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস দরিদ্রদের জন্য ভ্যাকসিন এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন।
ফ্রান্সিস তার ভাষণে বলেন, গরিবদের প্রতি মানুষের উদাসীন আচরণ ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করে। সবাইকে আলোকসজ্জার পেছনে থাকা অন্ধকারের দিকেও মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম বি.১.১.৫২৯, করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ শনাক্তের খবর আসে। নতুন এই ধরনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ৯ নভেম্বর। বর্তমানে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে ‘ওমিক্রন’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনার নতুন ধরনকে উদ্বেগজনক বলছে এবং বার বার বিশ্ববাসীকে সতর্ক করছে।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৪ হাজার ৬১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অনেকেই ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। একই সময় দেশটি মারা গেছেন ৮৪ জন। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে ফ্রান্সের অবস্থান সপ্তম। দেশটিতে এর আগের (শুক্রবার) ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ হাজার ১২৪ জনের দেহে করোনা জীবাণু পাওয়া যায়। একই সময়ে মারা গেছেন ১৬৭ জন।
সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ২৬ ডিসেম্বর