কক্সবাজার

কক্সবাজারে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, রিমান্ডে হোটেল ম্যানেজার

কক্সবাজার, ২৫ ডিসেম্বর – কক্সবাজারে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হোটেল জিয়া গেস্ট ইন এর ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক হামিমুন তাসনিম এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী সদর থানায় মামলা করেন। তাতে চার জনের নাম উল্লেখ ও তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ মামলায় শুধু রিয়াজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল হুদা জয়, মেহেদী হাসান বাবু।

এদিকে, অভিযুক্ত সব আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান।

ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, বুধবার সকালে ঢাকা থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে যান তিনি। তারা কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন। সেখান থেকে বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ঘুরতে যান। লাবনী পয়েন্টে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে। পরে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে সন্ধ্যায় স্টেডিয়াম সংলগ্ন পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে কয়েকজন তার স্বীমী ও ৮ মাসের সন্তানকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। অপর একটি অটোরিকশায় তিন যুবক গৃহবধূকে তুলে নেয়। পরে তারা পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। সেখান থেকে তাকে ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামে একটি হোটেলে নেওয়া হয়। সেখানেও তাকে আরেক দফা গণধর্ষণ করে ওই যুবকরা। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে হোটেল কক্ষটি বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায় তারা।

গৃহবধূ আরও জানান, জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খুলে ৯৯৯-এ ফোন দেন। পুলিশ তাকে থানায় এসে সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়। তারপর অপর এক ব্যক্তির সহযোগিতায় কল দেন র‌্যাব-১৫-কে। পরে তারা এসে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করে। পর্যটন গলফ মাঠের এলাকা থেকে তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয়।

সূত্র : রাইজিংবিডি
এন এইচ, ২৫ ডিসেম্বর

Back to top button