ঢাকায় ভর্তি সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে: ডা. সামন্তলাল সেন
ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর – ঝালকাঠীর সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২১ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। এরমধ্যে শুক্রবার একজন মারা যান। চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন চারজন। একজনকে ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ হিসেবে বর্তমানে ১৫ জন সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
শনিবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন এ তথ্য জানিয়েছেন। লঞ্চে আগুনে দগ্ধদের চিকিৎসা বিষয়ে জানাতে প্রেস ব্রিফিং করেন তিনি।
ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, এখানে বর্তমানে ১৫ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে দুজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন। একজন রয়েছেন পিএইচডিওতে। প্রত্যেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আইসিইউতে থাকা একজনের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অন্যদের শরীরও পাঁচ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ।
তিনি বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হওয়া আরও ৩২ জন রোগী বরিশালের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে তিনজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। তাদের সেখানেই রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তিদের মধ্যে কতজন শঙ্কামুক্ত, এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্তলাল বলেন, পুড়ে যাওয়া রোগীদের অবস্থা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তারা শঙ্কামুক্ত কি-না, তা এত দ্রুত বলা সম্ভব নয়। চিকিৎসা চলছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দগ্ধদের খবর রাখছেন নিয়মিত। শুক্রবার তিনি ফোন করে সার্বিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন। আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ঝালকাঠীর পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগে। লঞ্চটি প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল। আগুন লাগার পর যাত্রীরা নেভানোর চেষ্টা করেন। অনেকে ছাদে চলে যান। কেউ কেউ নদীতে লাফ দেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দগ্ধ আছেন শতাধিক। নিখোঁজ কতজন এখনও জানেন না কেউ।
সূত্র: সমকাল
এম ইউ/২৫ ডিসেম্বর ২০২১