১৫ দিন আগে মেরামত করা হয় আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি
ঝালকাঠি, ২৫ ডিসেম্বর – ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি মাত্র ১৫ দিন আগে মেরামত করা হয়। মেরামত করে লাগানো হয় নতুন ইঞ্জিন। এরপর চারটি ট্রিপ সম্পন্ন করে। এর মধ্যে এ দুর্ঘটনার শিকার হয় এই লঞ্চটি।
বিলাসবহুল এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঢাকা-বরগুনা রুটে প্রায় দুই বছর আগে যাত্রা শুরু করে। তবে তৈরির পর মহামারীর ধাক্কায় লঞ্চটি বেশি ট্রিপ দিতে পারেনি।
জানা যায়, চাঁদপুর, বরিশালসহ, বরগুনার, বেতাগী, কাঁকচিড়া ঘাটে যাত্রী বহন করতো এই নৌযানটি। মাত্র ১৫ দিন আগে এই লঞ্চটির মেরামতের কাজ সম্পূর্ণ হয়। এরপর চারটি ট্রিপ সম্পন্ন করে। এর মধ্যে এ দুর্ঘটনার স্বীকার হয় লঞ্চটি।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় ঝালকাঠি পৌঁছলে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চটিতে আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। এখন পর্যন্ত ৩৭টি লাশ বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর ভিতরে ৫টি লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ২০১৯ সালে নির্মাণ করা হয়। এটির দৈর্ঘ্য ৬৪ মিটার, প্রশস্ততা ১০.৫০ মিটার। লঞ্চের গভীরতা ২.৮০ মিটার। বাংলাদেশ নৌপরিবহণ অধিদপ্তরে লঞ্চটির রেজিস্ট্র্রেশন নম্বর ০১-২৩৩৯। এর মালিকের নাম মো. হানজালাল শেখসহ চারজন। লঞ্চটির সার্ভের মেয়াদ আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রয়েছে। রুটপারমিট রয়েছে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। লঞ্চটিতে চার স্ট্রোক-বিশিষ্ট এক হাজার ১০০ অশ্বশক্তি সম্পন্ন দুটি ইঞ্জিন রয়েছে। দিনে লঞ্চটির ধারণক্ষমতা ৭৬০ জন ও রাতে ৪২০ জন। ঢাকা নদীবন্দর (সদরঘাট) থেকে ছাড়ার সময় এতে নাবিক-স্টাফসহ ৩১০ জন মানুষ ছিল বলে ভয়েজ ডিক্লারেশন দেওয়া হয়। ওই ডিক্লারেশনে বলা হয়, যাত্রার সময়ে লঞ্চটির ডেকে ২২০ জন ও কেবিনে ৫৫ জন যাত্রী রয়েছে।
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ২৫ ডিসেম্বর