লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: স্বজনদের আহাজারিতে নদী পাড়ের পরিবেশ ভারী
ঝালকাঠি, ২৪ ডিসেম্বর – ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ নামক যাত্রীবাহী লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে লাশের সংখ্যা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শতাধিকের বেশি যাত্রী আহত হয়েছে। আহতদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভয়াবহ এ ঘটনায় মৃতদের স্বজনদের আহাজারিতে নদী পাড়ের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। থামছে না কান্নার রোল।প্রিয় মানুষটির খোঁজে নদী পাড়ে ভীর করছের স্বজনরা।
ঢাকা ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা কানম জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের নামপরিচয় জানা যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। আহত হয়েছেন ৬৫ জন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, জেলা প্রশাসক জোহর আলী। তিনি বলেন, এ ঘটনায় লঞ্চ কর্মকর্তাদের কোন ধরনের অবহেলা থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এখন পর্যন্ত লঞ্চের কোন কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, হয়তো কর্মকর্তারা অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন না হয় সাঁতরে পালিয়ে গেছেন।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হক জানিয়েছেন, ৭০ জনের বেশি দগ্ধ যাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর ) ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দগ্ধ আট শিশুসহ ৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, অনেকেই লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। যাত্রীদের ধারণা হতাহতের সংখ্যা অনেক।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানিয়েছেন, আগুন ভোর ৫টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
যাত্রীরা অনেকেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। অনেকে হয়তো পারেননি।
সূত্র : আরটিভি
এন এইচ, ২৪ ডিসেম্বর