জাতীয়

‘না’ বলা ছাড়ুন: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর – নির্বাচন কমিশন গঠন ও চলমান রাজনীতি নিয়ে কোনো আপত্তি থাকলে বিএনপি তার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে ‘বলে আসতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, বিএনপি সবকিছুকে না বলার নেতিবাচক রাজনীতি থেকে সরে আসবে। তাদের কোনো বিষয়ে আপত্তি থাকলে, সেটিও তারা সংলাপে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে বলে আসতে পারবেন, এটিই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি। তারা যেটা রাজপথে বলছেন, সেটিও তারা সংলাপে বলতে পারেন।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর পরিচালিত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প থেকে প্রকাশিত ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনের সময় এসব কথা বলেন।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গতবারও রাষ্ট্রপতির সংলাপের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। কমিশনের অনেক সিদ্ধান্তের সাথে সময়ে সময়ে দ্বিমত পোষণকারী এবং কেউ কেউ যাকে বিএনপিপন্থী বলেন, সেই মাহবুব তালুকদারও সংলাপের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনার হিসেবে স্থান পেয়েছেন। সেটিই প্রমাণ করে যে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন গঠন ঠিক ছিল এবং সংলাপ কার্যকর।’

তিনি বলেন, ‘এবারও নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যে সংলাপ করছেন, গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে সংহত করার জন্যই তা করা হচ্ছে। অনেক গণতান্ত্রিক দেশ আছে সেখানে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে এ ধরণের সংলাপ হয় না।’

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি আজ বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে স্বীকৃত এবং দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তা মানুষের কাছে তুলে ধরা আমাদের গণমাধ্যমের নৈতিক দায়িত্ব।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ এবং প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান ওমর ফারুক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির উন্নয়ন-অগ্রগতি যদি অব্যাহত রাখতে হয়, দেশকে যদি স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে হয়, হতাশাগ্রস্ত মানুষ দিয়ে তা সম্ভবপর নয়। সবসময় খারাপ সংবাদ পরিবেশন করলে মানুষ হতাশাগ্রস্তই হবে এবং হতাশ মানুষ দিয়ে জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। কোনো নেতিবাচক খবরের যদি সংবাদমূল্য থাকে তবে তা অবশ্যই প্রকাশিত হবে। কিন্তু একইসাথে আজকে বাংলাদেশ যে পাকিস্তান ও ভারতকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে, সে অগ্রগতির কথাটাও মানুষকে জানানো অত্যন্ত প্রয়োজন। ’

দুইশ পৃষ্ঠার ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব’ গ্রন্থটিতে ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনকালের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র ও বক্তৃতার উদ্ধৃতি সন্নিবেশিত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে ঢাকা শেরাটন বলরুমে বেসরকারি সংস্থা ‘উইমেন লিডারশিপ করপোরেশন’ আয়োজিত ‘লাইফস্টাইল এন্ড ব্রাইডাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাওয়ার্ড অ্যান্ড এক্সপো ২০২১ -ম্যাজেস্টিক অ্যাফেয়ার’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নের কারণে আজ দেশ এত দূর এগিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তার কারণেই দেশে নারী ক্ষমতায়ন ঘটেছে। দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছুতে উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের এগিয়ে আসার বিকল্প নেই।’

মারিয়া মৃত্তিক, নুসরাত চৌধুরী, পারসা ফাতেমা, নবী ইসমাইলসহ নারী উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠানে তাদের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। আয়োজকদের পক্ষে লাইফস্টাইল ও বিবাহসজ্জা শিল্প উদ্যোক্তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সূত্র: সমকাল
এম ইউ/২৩ ডিসেম্বর ২০২১

Back to top button