লালমনিরহাট

হত্যার পর পোড়ানোর ঘটনায় কারও ইন্দন আছে : পুলিশের ডিআইজি

লালমনিরহাট, ৩১ অক্টোবর- লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারীতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অন্য কারও হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাশ ভট্টাচার্য। আজ শনিবার পাটগ্রাম শহীদ আফজাল হোসেন হলরুমে আলেম সমাজের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

পুলিশের ডিআইজি বলেন, বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি পরে জানানো হবে। ছোট একটি ঘটনাকে রং দিয়ে পেছন থেকে কেউ সুযোগ নিতে পারে। তাই পুরো ঘটনাটি একাধিক সংস্থা তদন্ত করছেন। একটু অপেক্ষা করুন প্রকৃত রহস্য বের হবে।

এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদের শহীদ আফজাল হলরুমে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওহাব ভূঞা, জেলা প্রশাসক আবু জাফর, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, ইউএনও কামরুন নাহার, ওসি সুমন কুমার মোহন্ত উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বৈঠকে ওই উপজেলার ইমাম মোয়াজ্জেমসহ ৫ শতাধিক আলেম উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:  ‘জুয়েলকে মসজিদের বাইরে আনার পর পরিস্থিতি এমন হবে ভাবিনি’

উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দর কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে তুলে গত বৃহস্পতিবার এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন বিক্ষুপ্ত জনতা। পরে ওই লাশ পুড়িয়ে ফেলেছে তারা।

নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।

সূত্র: আমাদের সময়

আর/০৮:১৪/৩১ অক্টোবর

Back to top button