পশ্চিমবঙ্গ

ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত কলকাতা নির্বাচন

কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর – ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রবিবারের নির্বাচনের কলকাতা। পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জৈন বিদ্যালয়। এদিন সকালে সেখানে পৌঁছন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। তাঁর অভিযোগ, দু’জন ভুয়ো ভোটারকে ধরেছেন তিনি। যা নিয়ে তুলকালাম বাধে ব্রাবোর্ন রোডের উপর। এক যুবককে পুলিশ লাঠি দিয়ে মারে বলেও অভিযোগ ওঠে। যদিও তৃণমূল ও বিজেপি একযোগে অভিযোগ করেছে, ভোটারদের হেনস্থা করতে সন্তোষ পাঠকের সাজানো গল্প এটা।

কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের বক্তব্য, ওই দুই যুবকের কাছ থেকে যে ভোটার কার্ড পাওয়া গিয়েছে সেই কার্ড সঠিক নয়। দু’জন দৌড়ে পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ তাঁর। কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি, “দু’জন ভুয়ো ভোটারকে আমরা ধরেছি। যে দু’জন পালিয়ে গেল ওরা হাওড়া থেকে এসেছে। বাবার নাম বলতে পারছে না, মায়ের নাম বলতে পারছে না। ভুয়ো ভোটার ওরা।”

যদিও স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার দাবি, “সন্তোষ একেবারেই নাটক করছে। অযথা ভোটারদের বিরক্ত করছে যাতে মানুষ ভোট না দেন। ভুয়ো ভোটার কার্ড মানে কী! নিজে বানিয়ে নিয়ে এসে লোককে দেখালে কে ধরবে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এখানে পুলিশ আছে। যা বলার ওদের বলুক। ভোটারদের বিরক্ত করার মানে কী।”

যদিও এদিন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে দুই যুবকের ছুটে পালিয়ে যাওয়ার ছবি। এরই মধ্যে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছলে এক যুবকের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও শুরু হয় বলে অভিযোগ। লাল সোয়েটার পরা এক যুবককে ধরে পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে পায়ে লাঠি দিয়ে মারে। রাস্তায় বসে পড়ে ওই যুবক। বিজেপি প্রার্থীর কুশল পাণ্ডেরও অভিযোগ, সন্তোষ পাঠক ভোটারদের হেনস্থা করছে এসব করে। বিজেপি প্রার্থীর প্রশ্ন পুলিশ কী করছে? কেন কংগ্রেস প্রার্থী এভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? ভোট দিতে দিচ্ছেন না ভোটারদের। যেখানে সেখানে ঝামেলা করছেন।

ডিসি রূপেশ কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছন। সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। যেহেতু বড়বাজার চত্বর সামনে। বহু বাইরের কর্মীরই থাকার জায়গা এটা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। যদিও তাঁদের পুলিশ ঘরে ঢুকে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।

এন এইচ, ১৯ ডিসেম্বর

Back to top button