তদন্ত প্রতিবেদন জমা, কারণ দর্শানোর নোটিশ পাচ্ছেন অধ্যাপক নিখিল
ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর – বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ সরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্তে নাম আসা অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে যাচ্ছে।
বুয়েট কর্তৃপক্ষ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ২১ নভেম্বর যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল সেই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তবে যে প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে তাতে কী আছে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
শনিবার বিকেলে বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। এর ভিত্তিতে নিখিল রঞ্জন ধরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলা হয়েছে। হয়তো দু-এক দিনের মধ্যেই তাকে নোটিশটি পাঠানো হবে। সাত দিনের মধ্যে তাকে নোটিশের জবাব দিতে হবে। এরপর বুয়েটের সিন্ডিকেটে আলোচনার পর তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ তবে তদন্ত বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন ৫টি সরকারি ব্যাংকের ১ হাজার ৫১১ টি ‘অফিসার ক্যাশ’ পদের নিয়োগ পরীক্ষা গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে এক ঘণ্টার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর একাধিক প্রার্থী অভিযোগ করেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০০টি প্রশ্নের প্রিন্ট করা উত্তরপত্র ফেসবুকে পাওয়া গেছে। ওই পরীক্ষা নেয়ার দায়িত্বে ছিল আহ্ছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার সিলেকশন কমিটি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর পরীক্ষাটি বাতিল করে। এ ঘটনায় আহ্ছানউল্লা ইউনিভার্সিটির কয়েকজন কর্মচারীসহ কিছু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বুয়েটের অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরের নাম উঠে এসেছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ছাপাখানায় প্রশ্নপত্র ছাপার পর তিনি একটি বা দুটি সেট নিজের ব্যাগে ঢুকিয়ে নিতেন৷
গত ২১ নভেম্বর অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরকে বিশ্ববিদ্যালয়টির ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/১৮ ডিসেম্বর ২০২১