জাতীয়

আলুর দাম বেঁধে দিয়েও কার্যকর করতে পারেনি সরকার

শুভ খান

ঢাকা, ৩১ অক্টোবর- দফায় দফায় বৈঠক করে আলুর দাম বেঁধে দিয়েও বাজারে তা কার্যকর করতে পারেনি সরকার। হিমাগারে প্রতিকেজি আলু ২৭ টাকা দরে না পাওয়ায় বাড়তি দামে কিনতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। আর হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, সংরক্ষিত আলু কৃষকেরাই তাদের কাছে ২৭ টাকার বেশি দামে বিক্রি করছে।

দোকানে টাঙানো তালিকায় প্রতি কেজির আলুর খুচরা দাম লেখা ৩৫ টাকা। অথচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়!

একজন বিক্রেতা বলেন, ‘কি জানি কে লেখছে মূল্য তালিকা। আমার ৩৮ টাকা কেনা আমি ৪০ টাকা বিক্রি করছি।’

বেশিরভাগ আড়তেই নেই মূল্য তালিকা। আড়ৎদাররা দাম ৩৫ টাকা কেজি বললেও, খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ভিন্ন কথা।

কারওয়ানবাজারের আড়ৎদাররা জানালেন, বৃহস্পতিবার বৈঠক করে শনিবার থেকেই সরকারি দাম কার্যকরের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। এ খবরে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সরবরাহ বন্ধ। মজুদ আলু দিয়ে শুক্রবার চললেও শনিবার আড়ৎ বন্ধ রাখার হুমকি ব্যবসায়ীদের।

হিমাগার থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু না পাওয়ায় বিক্রিই বন্ধ রেখেছেন মোহাম্মদপুর পাইকারি কৃষি মার্কেটের আড়ৎদার। আর হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, সংরক্ষিত আলু কৃষকেরা তাদের কাছে ২৭ টাকার বেশি দামে বিক্রি করছে।

হিমাগার থেকে কোন কারসাজি হচ্ছে কিনা তা তদারকিতে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রংপুর জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী।

আরও পড়ুন: ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেবেন মেয়র আতিক

তিনি বলেন, ‘পাইকারি খুচরা পর্যায়ে কে কতটা আলু রাখতে পারবে সেটা নির্ধারণ করে দিতে হবে।’

দেশের অন্যতম প্রধান আলু অঞ্চল রংপুর বিভাগ। এখানকার ৮ টি জেলার ৯০টি হিমাগারে এখনও প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন আলু মজুদ রয়েছে। এরমধ্যে বীজ এক লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন আর খাবার আলু ৫৫ হাজার মেট্রিক টন।

সূত্রঃ সময় নিউজ
আডি/ ৩১ অক্টোবর

Back to top button