উত্তর আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়িয়েছে

ওয়াশিংটন, ১৫ ডিসেম্বর – যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আট লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বৈশ্বিক এ মহামারিতে মৃত্যুর হিসাবে সবার ওপরেই আছে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। এর আগে সোমবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ৬ লাখ ১৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে। এছাড়া ভাইরাসটিতে ৪ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি প্রাণহানি নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যম জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে মারা যাওয়া লোকদের মধ্যে বয়স্ক এবং যারা টিকা নেননি তাদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে এখন আবার আশঙ্কাজনক হারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু বাড়তে শুরু করেছে। গত ১১ সপ্তাহে সেখানে এক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শীত ছাড়া অন্য যে কোনো সময়কে বিবেচনায় নিলে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের মহামারি বিশেষজ্ঞ কেরি আলথপ বলেন, ‘আক্রান্তের যে ঢেউ আমরা দেখতে পাচ্ছি তা ততক্ষণ চলবে যতক্ষণ না মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী না হয়ে উঠছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা এখনো সে পর্যায়ে পৌঁছায়নি।’

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়েছিল ওয়াশিংটনের সিয়াটলে। এরপর ৬৫০ দিন পেরিয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আট লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

গত শীতে প্রথমবার ফাইজারের টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় গণটিকার কার্যক্রম শুরু হয় দেশটিতে। কিন্তু তারপরও সেখানে ৩ লাখের বেশি মানুষ মারা যান। এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র মডার্নার ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার অনুমোদন দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি বা বোস্টনে যত মানুষ বাস করেন তার চেয়ে বেশি (৮ লাখ) মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে দেশটিতে যত মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন তার চেয়ে দ্বিগুণ মানুষ মারা গেছেন এ ভাইরাসটিতে।

সূত্র: রাইজিংবিডি
এম ইউ/১৫ ডিসেম্বর ২০২১

Back to top button