গবেষণা

ফাইজারের দুই ডোজ ওমিক্রনে সংক্রমিতদের ৭০ ভাগ রক্ষা করে : গবেষণা

ফাইজার বায়োএনটেক টিকার দুই ডোজ ওমিক্রনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের গুরুতর অসুস্থতা থেকে ৭০ শতাংশ রক্ষা দেয়। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা গেছে, ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে যারা দুই ডোজ ফাইজারের টিকা নিয়েছিলেন তাদের ৭০ ভাগকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওপর সরাসারি ফাইজারের দুই ডোজ টিকার প্রভাব সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বেসরকারি স্বাস্থ্য বীমা প্রতিষ্ঠান ডিসকভারি হেল্থ এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। নভেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ৭ তারিখ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত দুই লাখ ১১ হাজারের বেশি রোগীর ওপর এই গবেষণাটি চালানো হয়। এর মধ্যে প্রায় ৭৮ হাজার রোগী ওমিক্রন সংশ্লিষ্ট ছিল। তবে তারা ওমিক্রনে আক্রান্ত ছিলেন সেটা নিশ্চিত ছিল না। এর অর্থ হলো এই গবেষণা প্রতিবেদন নতুন এই ধরনটির ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দিচ্ছে না। যদিও এই ধরনটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ‘উদ্বেগজনক’ বলে আসছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের প্রায় ৫৫০টি জিনোম সিক্রোয়েন্সিংয়ের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। যার ৭৮ শতাংশই নভেম্বরের নতুন এই ধরনের। যেটি আগের ডেল্টা ধরনের চেয়েও বেশি।

গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকে ওমিক্রন সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছে, নতুন এই ধরনে বিশ্বব্যাপী আবারও সংক্রমণের ঢেউ সৃষ্টি করতে পারে এবং যা দেশটির ওপর আবারও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে দৈনিক শনাক্ত ২০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের সহায়তায় করা ডিসকভারির এই ক্লিনিক্যাল রিসার্চের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যারা টিকা নেননি তাদের ওমিক্রন সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থতা ৩৩ শতাংশের তুলনায় ফাইজারের দুই ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে ৭০ শতাংশ রক্ষা করে। তবে ডেল্টার ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকায় এই হার ছিল ৯০ শতাংশ।

ডিসকভারি সতর্ক করে বলেছে, গবেষণার এই ফলাফল প্রিলিমিনারি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বলেছে, এই গবেষণা প্রতিবেদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে দেখা গেছে অতি সংক্রামক ওমিক্রনে ফাইজারের টিকা গুরুতর অসুস্থতা এবং হাসমপাতালে ভর্তি থেকে রক্ষা করে। আমরা এই ফলাফলে খুবই খুশি।

এম ইউ/১৪ ডিসেম্বর ২০২১

Back to top button