জাতীয়

আইজিপি-র‍্যাব ডিজিসহ ৬ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর – বাংলাদেশের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ দপ্তর সরকারের নির্বাহী আদেশ ১৩৮১৮–এর আওতায় এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ আদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তির সম্পদ বাজেয়াপ্তের কথা বলা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদও রয়েছেন। অন্য কর্মকর্তারা হলেন- র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মুস্তাফা সারওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খান।

পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছেন। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়ালি আডেয়েমো জানান, এ নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাজ্য ও কানাডার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। তাদের আজকের পদক্ষেপ একটি বার্তা দিচ্ছে যে যারা নিপীড়ন চালাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করবে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র কথা বলবে।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান র‍্যাব ও তার ছয় কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলেছেন।

এক ভিডিও বার্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বস্তুনিষ্ঠভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তারা অতিরঞ্জিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কারণ আমাদের পুলিশ কখনো কাউকে ক্রস ফায়ার বা বিচার বহির্ভূত হত্যা করে না। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা চ্যালেঞ্জিং। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী সুন্দরভাবেই সেই দায়িত্ব পালন করছে।

কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যার উদাহরণ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এদেশে অপরাধীদের মৃত্যুর বড় একটা কারণ, যখন সন্ত্রাসীদের ধরতে যাওয়া হয় তখন তারা সারেন্ডার করে না। তখন আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর গুলি ছুঁড়তেই হয়। তারপরও পুলিশ গুলি ছুড়লে সেটার তদন্তভার একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দেয়া হয়। তদন্তে কোনো গাফিলতি ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ১১ ডিসেম্বর

Back to top button