ব্যক্তিত্ব

সুখি অনুভব করতে সাহায্য করে সঙ্গীত

আমরা চাই আমাদের স্মৃতি আমাদের সুখি করুক। কিন্তু সব সময় নেতিবাচক স্মৃতিকে দূরে  রাখা সহজ নয়। একটি উপায়ে আমাদের ইতিবাচক স্মৃতিকে রোমন্থন করা যায়, আর তা হল শান্তিপূর্ণ গান শোনা।

কানাডার মন্ট্রিল এর ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিগনি শেল্ডন এবং জুলিয়া ডনাহু এর করা সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা যায় এটি, যা প্রকাশিত হয় ফেব্রুয়ারি মাসে মেমোরি এন্ড কগ্নিশন নামক সাময়িকীতে।

গবেষণাটিতে ৪৮ জন অংশগ্রহণ করে। তাদের ৩০ সেকেন্ডের জন্য ৩২ টি নতুন কম্পোজ করা অপরিচিত পিয়ানোর সুর শুনানো হয়। এই সুরগুলোকে ৪ টি ভাগে বিভক্ত করা হয় : সুখি, শান্তিপূর্ণ, ভয় এবং দুঃখ। এদের প্রত্যেককে আবার দুটি ভিন্ন আবেগিয় মাত্রায় বিভক্ত করা হয় : ভ্যালেন্স বা মিশ্রণ ক্ষমতা (ইতিবাচক/নেতিবাচক) এবং উত্তেজনা বা অ্যারোসেল (উঁচু বা নীচু)। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, সুখি গানগুলো ছিলো অনেক বেশি উচ্চাঙ্গের বা উত্তেজনাকর এবং দুঃখের গানগুলো ছিলো কম  উত্তেজনাকর। অংশগ্রহণকারীরা তাদের ব্যক্তিগত স্মৃতিকে মনে করার চেষ্টা করে এবং তাদের যা মনে আসে তা কম্পিউটারে টাইপ করে লিখে রাখে। অংশগ্রহণকারীদের স্মৃতি মনে করতে কতক্ষণ সময় লাগে তা রেকর্ড করা হয়, এটা কতটা তীব্র ছিলো এবং এর সাথে কেমন আবেগ দেখা গিয়েছিলো তাও লক্ষ্য করা হয়।

সিগনি শেল্ডন রিডারস ডাইজেস্টকে বলেন, আমরা জেনেছি যে সুখি সুর (আশাবাদী ইতিবাচক সঙ্গীত) খুব দ্রুত অতীতের ঘটনা মনে করিয়ে দেয় যেকোন ধরনের আবেগিয় সুরের তুলনায়। অর্থাৎ সুখি সুর খুব দ্রুত আমাদের অতীতের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞিতায় সরাসরি প্রবেশ করে। নিজেকে ইতিবাচকভাবে দেখাটা আমাদের জন্য উপকারী। নেতিবাচক সুরের তুলনায় যখন আমরা ইচিবাচক সুর শুনি তখন তার ফলে  অতীতের অভিজ্ঞতাকে মনে করাটা আমাদের জন্য সহজ হয়।

শেল্ডন ব্যাখ্যা করে বলেন, সুর বা সঙ্গীত অত্যন্ত শক্তিশালী ইঙ্গিত আমাদের আত্মজীবনীমূলক স্মৃতিকে উদ্দিপ্ত করার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে আমাদের খুব ভালোভাবে মনে গেঁথে থাকে যে স্মৃতিগুলো সেগুলোর পুনরায় মনে করায় সাহায্য করে। এর কারণ হচ্ছে সুর আমাদের স্মৃতির পটভূমি হিসেবে কাজ করে, যা  আমরা আমদের মনে সংরক্ষণ করি। কিন্তু অন্য আরেকটি কারণ হচ্ছে সুর আমাদের আবেগের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত।

এম ইউ

Back to top button