পশ্চিমবঙ্গ

অভিষেকের বৈঠকে গরহাজির! মিমি-নুসরতকে শোকজ

কলকাতা, ০৮ ডিসেম্বর – দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ডাকা জরুরি বৈঠকে গড়হাজির দুই অভিনেত্রী সাংসদ। রেগে আগুন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহানকে শোকজ নোটিস পাঠাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সূত্রের খবর কেন তাঁরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তাঁর কারণ দর্শাতে বলা হবে।

অভিষেকের বৈঠক

শীতকালীন অধিবেশনে রণকৌশল কী হবে পরবর্তী পর্যায়ে এই নিয়ে আজ দিল্লিতে দলীয় সাংসদদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি দিন গুলিতে কীভাবে এগোবেন সাংসদরা তার রূপরেখা ঠিক করতেই এই বিশেষ বৈঠক বসেছিল। আগেই সব সাংসদদের সেখানে উপস্থিত থাকার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অনুপস্থিত হলে কড়া পদক্ষেপ করবে দল সেকথাও আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

গরহাজির মিমি-নুসরত

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহান। সব কিছু জানার পরেও দুইঅভিনেত্রী সাংসদের এই অনুপস্থিতিকে ভাল চোখে নেয়নি দল। সূত্রের খবর তাঁদের শোকজ নোটিস পাঠানো হতে পারে। কোন তাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন বৈঠকে তা জানানোর জন্য নোটিস পাঠানো হবে। অর্থাৎ অনুপস্থিতির কারণ দর্শানোর জন্য অভিনেত্রী সাংসদদের কাছে নোটিস পাঠাবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলীয় নির্দেশ অমান্য করাকে ভাল চোখে আর নেওয়া হবে না এই বার্তা দিতেই কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নুসরত জটিলতা

অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রথম থেকেই প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছিল দল। অভিনেত্রী নুসরত জাহানের সঙ্গে নিখিল জৈনের বিয়ে। সেই বিয়ের রিসেপশনেও গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই নুসরত দাবি করেন তিনি বিয়ে করেননি। নিখিল জৈনের সঙ্গে তাঁর কোনও আইনি বিবাহ হয়নি। যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। অন্তঃসন্ত্বা নুসরত প্রকাশ করতে চাননি তাঁর সন্তানের পিতার নাম। শেষে যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি। সন্তানের জন্মের পর তাঁর পিতৃপরিচয় প্রকাশ্যে আনেন নুসরত জাহান।

কোন পথে এগোবে তৃণমূল

সংসদ অধিবেশন শুরুর দিন থেকেই উত্তাল থেকেছে দুই কক্ষ। প্রথম দিনেই ১২ জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। সেই তালিকায় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেেসর দুই সাংসদ, দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী। এই দুই সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দুই কক্ষে। কিছুতেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে নারাজ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু। কিন্তু বিরোধীরাও অনড়। দফায় দফায় প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ চলছে সংসদ চত্ত্বরে।

এন এইচ, ০৮ ডিসেম্বর

Back to top button