দীর্ঘায়ু হতে সাহায্য করে যে ৬ টি কাজ
সব মানুষই দীর্ঘজীবী হতে চান। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ তাদের প্রিয়জনদের দীর্ঘজীবী হওয়ার আশীর্বাদ দিয়ে থাকেন। কিন্তু আশীর্বাদ ছাড়াও কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস আপনাকে দীর্ঘজীবী হতে সাহায্য করে। এমন কিছু বিজ্ঞান ভিত্তিক কৌশলের কথাই আজ আমরা জেনে নিব আজকের ফিচারে যার অনুশীলনের ফলে আপনার আয়ু বৃদ্ধি পাবে।
১। বই পড়া
আপনি যদি দীর্ঘায়ু হতে চান তাহলে বই পড়া শুরু করুন। একটি গবেষণায় প্রকাশ করা হয়েছে যে, বই পড়েন না যারা তাদের তুলনায় যারা বই পড়েন তাদের ২৩ মাস বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে। ১২ বছরের গবেষণার পরে দেখা যায় যে, যারা বই পড়েন তাদের মৃত্যু ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে গয়েছিলো।
২। মরিচ খাওয়া
এটা কোন মজার বিষয় নয়, ঝাল লাল মরিচ সমৃদ্ধ খাবার খেলে জীবনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়। ২০১৭ সালের এক গবেষণার পরিশেষে জানা যায় যে, যারা অনেক বেশি লাল মরিচ খান তাদের মৃত্যু হাড় ১৩ শতাংশ কমে যায়।
৩। সামাজিক কাজ করা
২০১২ সালের করা গবেষণা মতে, ভালো মানুষেরা দীর্ঘজীবী হন। নির্দিষ্ট সামাজিক কাজে যারা স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করেন তাদের মৃত্যুহার কমার প্রবণতা দেখা যায় যারা করেন না তাদের তুলনায়। কিন্তু সেখানে সতর্ক করে বলা হয় যে, যারা প্রচ্ছন্ন অভিপ্রায় নিয়ে স্বেচ্ছা সেবকের কাজ করেন তাদের মৃত্যু হার একই রকম থাকে যারা স্বেচ্ছা সেবকের কাজ করেন না তাদের মত।
৪। বন্ধুত্ব
বন্ধুত্ব জীবন বাঁচাতে পারে। ২০১০ সালের হার্ভার্ড হ্যাপিনেস স্টাডির মতে, মানুষের সাথে ভালো বন্ধন তৈরি করতে পারলে আপনার জীবনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাবে এবং যারা একাকী ও বিছিন্ন জীবন যাপন করে তাদের মধ্যে উচ্চ মৃত্যু হার দেখা যায়।
৫। ঈশ্বরে বিশ্বাস করা
স্রষ্টায় বিশ্বাস করেন যারা তারা দীর্ঘজীবী হন। ৭৪,৫৩৪ জন নারী যারা গির্জায় ধর্মীয় কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন তাদের উপর করা গবেষণায় দেখা যায় যে, তাদের কারডিওভাস্কুলার রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে এবং ক্যান্সারে মৃত্যু হার কমে। এই গবেষণার পরিশেষে বলা হয় যে, ধর্ম এবং আধ্যাত্মিকতা এমন এক অমূল্য বিষয় যা রোগীদের দীর্ঘায়ু হতে সাহায্য করে বলে চিকিৎসকদের তার রোগীদের ধর্মীয় কাজ করার পরামর্শ দেয়া উচিৎ।
৬। উপোস করা
আমাদের পূর্ব পুরুষেরা জানতেন যে উপোষ করার অনেক উপকারিতা আছে। ২০১৫ সালের করা এক গবেষণায় প্রচলিত বিশ্বাসকে যথার্থ বলে প্রতিষ্ঠা করেছে, এতে বলা হয় আমাদের পূর্ব পুরুষেরা এটা প্রমাণ করেছেন যে, উপস থাকলে ইমিউন সিস্টেম পুনরুজ্জীবিত হয়, ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে, জ্ঞানীয় পারফর্মেন্সের উন্নতি ঘটে এবং মানুষের বয়স সংক্রান্ত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে, যা দীর্ঘায়ু হতে সাহায্য করে।
এম ইউ