ওমিক্রন থেকে ‘বাঁচাতে’ স্ত্রী-সন্তানদের খুন করলেন চিকিৎসক
নয়াদিল্লি, ০৪ ডিসেম্বর – ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কানপুরের কল্যাণপুর এলাকার নিজ বাসায় খুন হন তারা।
কয়েকটি গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ওই চিকিৎসক বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তিনি কোভিড-১৯ এর নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ওই চিকিৎসক তার ভাইকে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অবগত করেন এবং তিনি হতাশায় নিমজ্জিত ছিলেন। তার ভাই পরে পুলিশকে বিষয়টি জানায় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
হত্যা করার আগে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। এতে তিনি লেখেন, ‘লাশ গুনতে গুনতে আমি ক্লান্ত। ওমিক্রনের সংক্রমণ থেকে কেউ রেহাই পাবে না। এমন পরিস্থিতির যাতে শিকার না হতে হয়, তাই ওদের মুক্তি দিচ্ছি।’
পুলিশ জানায়, স্ত্রী ও সন্তানদের খুন করার পরই ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তাটি পাঠিয়েছিলেন চিকিৎসক।
চিকিৎসকের এ ধরনের বার্তা পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তার ভাই। তিনি গিয়ে দেখেন একটি কক্ষে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তার ভাবি এবং অন্য কক্ষে ভাতিজা-ভাতিজি। এর পরই তিনি পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে এবং দুই সন্তানকে হাতুড়ি দিয়ে মাথার খুলি ফাটিয়ে খুন করেছেন চিকিৎসক।
পুলিশকে চিকিৎসকের ভাই জানান, তার ভাই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
তদন্তকারীরা চিকিৎসকের কক্ষ থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেন। সেখানে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা লেখেন। এ ছাড়া ওমিক্রনের কথাও সেখানে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তদন্তকারীদের দাবি, ডায়েরিতে এটাও স্পষ্ট করে লেখা যে, ‘এখন থেকে আর লাশ গুনতে হবে না। করোনা সবাইকে মারবে।’
সূত্র: আরটিভি
এম ইউ/০৪ ডিসেম্বর ২০২১