ক্রিকেট

‘বৈচিত্র নয়, স্পট বোলিং টেস্টে সাফল্যের মূলমন্ত্র’

ঢাকা, ০৪ ডিসেম্বর – দিনের শুরুতে এবাদত হোসেন-খালেদ আহমেদদের বোলিংয়ে সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ওভার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন ধার কমতে থাকে দুজনের। মেঘলা আবহাওয়ার সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি এই দুই পেসার।

৯ ওভার না যেতেই অধিনায়ক মুমিনুল হক আনলেন স্পিনারদের। এরপর খেলার দৃশ্যপট যেন পাল্টে যায়। দুই প্রান্ত থেকে সাকিব আল হাসান-তাইজুল ইসলাম চেপে ধরেন পাকিস্তানিদের। এতে মেলে জোড়া সাফল্যও।

দুই সেশনও শেষ না হওয়া দিনে বাংলাদেশের সাফল্য এই স্পিনেই। দুই ওপেনারকেই বোল্ড করে ফিরিয়েছেন তাইজুল। সাকিব উইকেট না পেলেও বোলিং করেছেন দারুণ। নিজের চতুর্থ ওভারে উইকেট পেতে পেতে পাননি এই বাঁহাতি স্পিনার। শফিকের পায়ে বল লাগলে রিভিউ নেন, কিন্তু কাজ হয়নি। দুজনের ঘূর্ণিতে দিশেহারা ছিলেন দুই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত তাইজুলকেই উইকেট দেন দুজনে।

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আরেক স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ জানিয়েছেন, টেস্ট বৈচিত্রময় স্পিনের চেয়ে স্পট বোলিংয়ই হলো সাফল্যের মূলমন্ত্র। ‘আমি মনে করি টেস্ট ক্রিকেটে ভেরিয়েশনের চেয়ে লাইন লেন্থ মেনে বল করাটা (স্পট বোলিং) বেশি জরুরি। ভেরিয়েশনটা তখনই কাজে লাগবে যখন আপনি লাইন লেন্থ মেনে বল করবেন।‘

মিরাজ ১২ ওভার বোলিং করে ২ মেডেনে ৩১ রান দিয়েছেন। উইকেটের দেখা পাননি। প্রথম সেশনে পেসারদের ৯ ওভারের পর সাকিব-তাইজুল টানা ২২ ওভার করেন। মধ্যাহ্ন বিরতির পর তাইজুল আরও ৬ ওভার করলেও সাকিবকে তখন আনেননি অধিনায়ক। এক প্রান্তে তাইজুল ছিলেন আরেক প্রান্ত এবাদত। দ্বিতীয় সেশনের তৃতীয় ওভার থেকে বোলিং শুরুর করেছিলেন মিরাজ।

মিরপুরের উইকেট এমনিতেই স্পিনারদের জন্য স্বর্গরাজ্য। শের-ই বাংলায় এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত ২১ টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় তিনজনই বাংলাদেশি স্পিনার। সাকিব ৬২, তাইজুল ৫২ ও মিরাজ ৪১ উইকেট নিয়ে পর্যায়ক্রমে আছেন। এই টেস্টসহ ধরলে তাইজুলের আরও দুটি উইকেট বেড়েছে। দ্বিতীয় দিন এই স্পিনারদের হাতেই থাকছে বাংলাদেশের ম্যাচের নাটাই।

মিরাজের নজর এখন উইকেটের দিকেই। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা যেই জিনিসটা পরিকল্পনা করছি, আমরা যেহেতু বোলিং করছি, তাই আমাদের বোলিংয়ের দিকেই ফোকাস করা উচিত। আমাদের এখন ১০ উইকেট নিতে হবে। ১০ উইকেট নেয়ার পর যত রান হয় তখন আমরা ব্যাটসম্যানরা পরিকল্পনা করব কিভাবে সেটি করতে হবে।‘

মিরাজের কণ্ঠে পেসারদের উইকেট না পাওয়া নিয়ে নিয়ে আক্ষেপও ঝরেছে। তার ভাষ্যনুযায়ী দিনের শুরুতে পেসাররা উইকেট পেলে বাংলাদেশ আরও ভালো অবস্থায় থাকতো। ‘যখন আমরা আজকে শুরু করেছিলাম তখন দুই দিক থেকে যদি পেস বোলাররা চাপটা যদি ধরে রাখতে পারতেন তাহলে এক ঘণ্টার ভেতর দুই উইকেট পড়ে যেতে পারতো। কিন্তু স্পিনাররা যখন বোলিং করেছেন তখন এক দিক থেকে সাকিব ভাই আঁটসাঁট বোলিং করেছে, আরেক দিক থেকে তাইজুল ভাইও আঁটসাঁট বোলিং করেছে, চাপ তৈরি হয়ে উইকেট কিন্তু পড়েছে। টেস্ট ক্রিকেটটাই এরকম। দুই দিক থেকে ভাল বোলিং করতে হয়, চাপ তৈরি করতে হয়।’

সূত্র : রাইজিংবিডি
এম এস, ০৪ ডিসেম্বর

Back to top button