দ্বিতীয় সেশনে উইকেটই ফেলতে পারলো না বাংলাদেশ
ঢাকা, ০৪ ডিসেম্বর – প্রথম সেশনে বাংলাদেশ দুটি উইকেট নিতে পারলেও দ্বিতীয় সেশনে প্রতিরোধ গড়ে খেলেছে পাকিস্তান। বাবর আজম ও আজহার আলীদের কোনও পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ৯১ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছেন দু’জন। চা পানের বিরতির আগে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৬১ রান।
অবশ্য মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব পড়েছে দ্বিতীয় সেশনে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ ছিল ২৫ মিনিট।
প্রায় ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় পাকিস্তানের দুই ওপেনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলেছিলেন। দৃশ্যপট পাল্টে যায় সাকিব-তাইজুল বোলিংয়ে। বিশেষ করে তাইজুল একাই সফরকারীদের প্রতিরোধ ভেঙেছেন প্রথম সেশনে। তার ঘূর্ণিজাদুতে প্রথম সেশনে দুই উইকেট তুলে নিতে পারে বাংলাদেশ।
লাঞ্চ বিরতির আগে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৭৮ রান। বিরতির পর জুটি গড়ে খেলেছেন অধিনায়ক বাবর আজম ও আজহার আলী। বাবর দ্রুতগতিতে ব্যাট চালিয়ে তুলে ফেলেছেন ফিফটি। অপরপ্রান্তে আজহার আঁকড়ে ধরে খেলার চেষ্টা করছেন। দ্বিতীয় সেশনে দুজনে মিলে যোগ করেছেন ৮৩ রান।
অবশ্য এই প্রতিরোধ ভাঙারও সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। ফিফটির আগে ৪৭তম ওভারে সাকিবের বলে ক্যাচের সুযোগ উঠেছিল বাবর আজমের। খালেদ আহমেদ লং অফে ডাইভ দিয়েও বল হাতে জমাতে পারেননি। যা পরে চার হয়ে গেছে।
দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। এমন কন্ডিশনে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান।
শুরুর দিকে পেসাররা সহায়তা পেয়ে থাকেন। হয়েছেও তাই। মেঘলা আবহাওয়ায় শুরুর ওভারে সুইং আর বাউন্সে দুই ওপেনারকে নড়বড়ে করার চেষ্টা করেছেন এবাদত। ভেতরে ঢুকে পড়া চতুর্থ বলে লেগ বিফোরের আবেদনও উঠে। কিন্তু লেগ স্টাম্প মিস করবে দেখে রিভিউ নেননি মুমিনুল।
লেগ বিফোরের আবেদন উঠেছিল এবাদতের তৃতীয় ওভারেও। কিন্তু কোনও সম্ভাবনা না থাকায় রিভিউ নিতে আগ্রহী হননি মুমিনুল।
সুস্থ হয়ে ফেরা সাকিব বল করতে আসেন দশম ওভারে। ঘূর্ণিতে দুই ওপেনারকে কিছুটা ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তার পরেও সতর্ক থেকে হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়েন দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আব্দুল্লাহ শফিক। প্রায় ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় স্থায়ী এই জুটি ভাঙে তাইজুলের কল্যাণে।
১৯তম ওভারে প্রত্যাশিত টার্ন ভেবে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন শফিক। কিন্তু বল ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে আঘাত হানে স্টাম্পে। শফিক বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ২৫ রানে। তার বিদায়ে ভাঙে ৫৯ রানের জুটি। ঘূর্ণি বলে আবিদ আলীকেও বোল্ড করেন তাইজুল। ৩৯ রানে ব্যাট করতে থাকা এই ওপেনার অলসভঙ্গিতে কাট করতে গিয়েছিলেন। কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে।
২১তম ওভারেও তাইজুলের বলে ক্যাচের আবেদন উঠে আজহার আলীর। অনফিল্ড আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি শুরুতে। রিভিউ নিলে আলট্রাএজে কিছুটা স্পাইক দেখা গেলেও তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না টিভি আম্পায়ার। ফলাফল নট আউট সিদ্ধান্তই বহাল থেকেছে পরে। বাংলাদেশ ১৬তম ওভারেও রিভিউ নিয়েছিল। সাকিবের বলে লেগবিফোরের আবেদন উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত নষ্ট হয়েছে সেই রিভিউ। এর ফলে বাংলাদেশের দুটি রিভিউই নষ্ট হয়ে যায় দ্রুত।
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
এন এইচ, ০৪ ডিসেম্বর