টলিউড

তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী তনুশ্রী

কলকাতা, ০১ ডিসেম্বর – শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় পুরো ভারতে বিভিন্ন দল থেকে নেতাদের ‘ভাগিয়ে এনে’ দল ভারি করছে তৃণমূল। এমন সময় বিজেপির হয়ে নির্বাচনে লড়ে হেরে যাওয়া প্রার্থীদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে গুঞ্জন থাকবে এটিই স্বাভাবিক। ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী তনুশ্রীর ক্ষেত্রেও ঘটেছে এমনটি।

১০ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-তনুশ্রী চক্রবর্তীর ছবি ‘অন্তর্ধান’।

সিনেমা ও সামনের দিনে তার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের সঙ্গে।

আলাপে রাজনীতির প্রসঙ্গ এলে তনুশ্রী বলেন, এক সঙ্গে দুটো কাজ তখনই করতে পারব যখন দুটো কাজেই সমান পারদর্শী হব। রাজনীতিতে এসে বুঝলাম, অনেক কিছুই শেখা বাকি রয়ে গেছে। আমায় আরও রাজনীতি শিখতে হবে। এখন সিনেমায় মন দিলাম।

তা হলে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, বনি সেনগুপ্তের মতোই কি রাজনীতি থেকে নির্বাসন নিতে চাইছেন অভিনেত্রী?

যদিও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে তনুশ্রী বলেছিলেন, জনসেবা করতে চাই। তার জন্য রাজনৈতিক মঞ্চ দরকার। যে মঞ্চ আমায় দ্রুত সাধারণের কাছে পৌঁছে দেবে।

কিন্তু জনগণ তাকে সেবার করার সুযোগ দেয়নি। অর্থাৎ বিজেপির এ প্রার্থী হেরেছেন নির্বাচনে।

এবার এ অভিনেত্রী সরাসরি জানিয়ে দিলেন, রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চাওয়ার কথা।

রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চাওয়ার বিষয় আসতেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল প্রসঙ্গ চলে আসে। তাই তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় তৃণমূল থেকে ডাক এলে কি করবেন?

এবার উত্তর দেওয়ার সময় একটু সংযত মনে হয় তনুশ্রীকে। তিনি বলেন, আমি যা করব তা সবাই জানতে পারবেন। কোনো কিছুই গোপনে করব না।

রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও ব্যস্ত সময় পার করবেন তনুশ্রী। ‘অন্তর্ধান’ ছাড়াও মুক্তির পথে ‘টনিক’, ‘আবার বছর ২০ পরে’, ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’। সেই সব ছবির প্রচারে থাকতে হবে তাকে। চলছে জিৎ প্রযোজিত এবং অভিনীত ‘রাবণ’ ছবির শুটিং। সবমিলিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও ব্যস্ততা পিছু ছাড়ছে না তনুশ্রীর।

এন এইচ, ০১ ডিসেম্বর

Back to top button