লক্ষীপুর

বিজয়ী মেম্বারের ৪০০ ব্যালটে নেই সহকারী প্রিসাইডিংয়ের সই!

লক্ষ্মীপুর, ০১ ডিসেম্বর – লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী সদস্যের (মেম্বার) ৪০০ ব্যালটে সহকারি প্রিসাইডিং অফিসারের সই ছিল না। উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে। ব্যালটে প্রিসাইডিংয়ের সই ছাড়াই কাজী শামছুল ইসলাম সামু মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের দিন সামু ও তার লোকজন সই ছাড়া ব্যালটগুলো নিয়ে ফুটবল প্রতীকে সীল মেরে বাক্স ভর্তি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ অনিয়মের বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহমুদুল হক রাসেল (মোরগ) তদন্তের দাবি জানান। এ ঘটনায় রাসেল সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আইনিভাবে এ ঘটনার ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত সামু ওই ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার।

এদিকে জোরপূর্বক ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে ফুটবল প্রতিকে সীল মারার ঘটনায় প্রতিবাদ করলে সহকারি প্রিসাইডিং অফিসারদের ভয়ভীতি দেখায় সামু ও তার লোকজন।

লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়। ৭ নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে সামু ও রাসেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই দিন দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদ কবির বাক্কি বিল্লাহ ও পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট কয়েক সহযোগীকে নিয়ে মানছুরা বালিকা বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে যায়। তারা মেম্বার প্রার্থী সামুর পক্ষ নিয়ে জোরপূবর্ক ৪০০ ব্যালট পেপার কেড়ে নেওয়া হয়। সহকারি প্রিসাইডিং অফিসাররা প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাদের স্বাক্ষর ছাড়াই ব্যালটে ফুটবল মার্কায় সিল মেরে বাক্সভর্তি করা হয়। পরে বিকেলে ভোট গণনা শেষে সামু ৬৩৩ ভোট ও রাসেল ৩৪২ ভোট পেয়েছেন বলে জানানো হয়।

এ বিষয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহমুদুল হক রাসেল বলেন, ৪০০ ব্যালট নিয়ে ফুটবলে সিল মারা হয়েছে। আমি জুডিশিয়াল তদন্তের দাবি করছি। ব্যালটগুলো পুনরায় গণনা করলে তাতে যে সহকারী প্রিসাইডিংয়ের সই নেই, তা প্রমাণ হবে। আমাকে ষড়যন্ত্র করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি।

কেরোয়া মানছুরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার এটিএম খোরশেদ আলম বলেন, ৪০০ ব্যালট তো অনেক। বিষয়টি আমি অবগত নয়। তবে ১০ থেকে ২০ টা ব্যালটের পেছনে হয়তো সহকারি প্রিসাইডিংদের সই না থাকতে পারে। তবে সহকারি প্রিসাইডিংদের স্বাক্ষর ছাড়া ভোট বৈধ হবে না।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লা বলেন, অভিযোগটি এখনো আমি পাইনি। হয়তো ওই ইউপির দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগটি দেওয়া হয়েছে।

সূত্র : আরটিভি
এম এস, ০১ ডিসেম্বর

Back to top button