কেনো বাপ্পি লাহিড়ী এতো গহনা পরেন?
বলিউডের অন্যতম সফল সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ী। তিনি একের পর এক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। সেই গানগুলি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। বলিউডে ৫০ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। গান নিয়ে যেমন তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, তেমনই তার পোশাকও বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রে থেকেছে। শুধু ভারতেই না, অন্য দেশগুলিতেও তিনি সমান জনপ্রিয়। তার গয়না পরা নিয়ে নানা রসিকতাও শোনা যায়। তবে কেন গয়না পরেন, সেটাও জানিয়েছেন তিনি।
সংগীতের সঙ্গে বাপ্পির প্রেম এক্কেবারে ছোটবেলা থেকে। মাত্র তিন বছর বয়সে তবলা বাজানো শেখা শুরু করেন তিনি। ১৭ বছর বয়সে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেন। তার অনুপ্রেরণা ছিলেন শচীন দেব বর্মন।
১৯৭২ সালে বাংলা ছবিতে হাতেখড়ি হয় বাপ্পি লাহিড়ির। ঠিক তার পরের বছরই বলিউডে যাত্রা শুরু করেন তিনি। তবে বাপ্পির গান নজরে আসে তাহির হুসেন পরিচালিত ‘জখমি’ ছবিতে। বাকিটা ইতিহাস। ডিস্কো ডান্সার, শরাবি, নমক হালাল, ডান্স ডান্স সহ একাধিক ছবিতে শ্রোতাদের মন জয় করেছেন তিনি।
তবে শুধু সংগীতের মাধ্যমেই নয়, লুকেও তিনি অনন্য। সোনার গয়না পরতে ভালোবাসেন বাপ্পি লাহিড়ি। তার জুয়েলারি কালেকশন যেকোনও গহনাপ্রেমীর কাছে ঈর্ষণীয়। তাকে বলিউডের ‘গোল্ডেন ম্যান’ বলা হয়। কোনও সময়ই সোনার হার, ব্রেসলেট, আংটি ছাড়া দেখা যায় না তাকে। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন তার গহনার প্রতি ভালোবাসার কারণ। হলিউডের মিউজিশিয়ান এলভিস প্রেসলির দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত।
তিনি বলেন, ‘হলিউডের গায়ক এলভিস প্রেসলি সোনার হার পরতেন। আমি প্রেসলির বড় ভক্ত ছিলাম। আমি ভাবতাম, যদি কোনওদিন সফল হই, তাহলে নিজের অন্যরকম ভাবমূর্তি গড়ে তুলব। ঈশ্বরের আশীর্বাদে সোনার মাধ্যমে সেটা করতে পেরেছি। আগে লোকে ভাবত, আমি সবাইকে দেখানোর জন্যই সোনার গয়না পরি। কিন্তু সেটা ঠিক না। সোনা আমার কাছে পয়া। আমার এগিয়ে যাওয়ার সাহস।’
এন এইচ, ০১ ডিসেম্বর