২০ জনের দলে ফিরলেও খেলতে পারবেন তো সাকিব!
ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর – হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে দলে থেকেও প্রথম টেস্ট খেলতে পারেননি। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে হালকা অনুশীলনও শুরু করেছিলেন কয়েকদিন আগে। তখনই মনে হচ্ছিল সাকিব আল হাসান সুস্থতার পথে এবং ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট খেলবেন।
ঢাকা টেস্টের জন্য ঘোষিত ২০ জনের দলে রাখা হয়েছে সাকিবকে। বিসিবি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাকিবের ফিটনেস পুরোপুরি ফিরে আসায় তাকে দলে নেয়া হয়েছে।
এদিকে সাকিবের দ্বিতীয় টেস্ট খেলা নিয়ে নির্বাচকদের কাছে কিছু জানতে চাওয়া হলে একটি জবাবই এসেছে তাদের কাছ থেকে। তাহলো, ‘আগে আমরা ফিজিওর কাছ থেকে তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানি। রিপোর্টে কী আছে দেখি। তারপর বলা যাবে।’
এদিকে আজ প্রথম টেস্ট শেষেই সাকিবের বিষয়ে অঘোষিত বৈঠকে বসেছিলেন নির্বাচকরা। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু মঙ্গলবার খেলা শেষে চট্টগ্রাম থেকে বিমানে ঢাকা পৌঁছেই অপর দুই নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন এবং আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেটা ফিজিও এবং বিসিবি প্রধান চিকিৎসকের দেয়া রিপোর্ট ও তথ্য-উপাত্তর ওপর নির্ভর করেই।
মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচকদের ওই অনানুষ্ঠানিক বৈঠকেই সাকিবের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং সাকিবকে দলে রাখার সিদ্ধান্তও হয় চূড়ান্ত। তারপরও উঠেছে প্রশ্ন, ২০ জনের দলে ফিরছেন সাকিব (আসলে তিনি ছিলেন, চট্টগ্রাম টেস্ট খেলেননি), কিন্তু ঢাকা টেস্ট খেলবেন কী?
এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে নির্বাচকদের খুব ঘনিষ্ট এবং নির্ভরশীল এক সূত্র জানিয়েছে, সাকিব এখন হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি সংক্রান্ত সমস্যা ও জটিলতা মুক্ত।
অর্থাৎ হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা ভাল হয়ে গেছে। হ্যামস্ট্রিংয়ের কারণে তার দ্বিতীয় টেস্ট না খেলার কোনোই কারণ নেই; কিন্তু তারপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে সাকিব শেষ টেস্ট খেলবেন- এমন কথা জোর দিয়ে বা নিশ্চিত করে বলা হয়নি। হচ্ছেও না।
আজ সকালে খেলা শেষে দুপুরে জুম কনফারেন্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হক নিশ্চিত করে বলতে পারেননি যে সাকিব খেলবেন। সাকিব কী শেষ টেস্ট খেলতে পারবেন? এ প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশ ক্যাপ্টেনের জবাব ছিল, ‘আমি নিশ্চিত না।’
হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি থেকে মুক্ত সাকিব আসলে টেস্ট খেলার মত ফিট কি না? মানে তার টেস্ট ম্যাচের ফিটনেসটা এসেছে কি না? সেটা নিয়েই ছিল প্রশ্ন।
‘আমরা সাকিবের ব্যাপারে কথা বলতে বসেছি।’ চীফ সিলেক্টর মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর হাবিবুল বাশার দু’জনই এটুকু জানিয়েছেন শুধু; কিন্তু কেউ সরাসরি মুখ ফুটে একথা বলেননি যে, সাকিব শেষ টেস্ট খেলবেই।
হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে যেহেতু সাকিব সেভাবে আর বল ও ব্যাটের অনুশীলন করেননি, তাই জানা গেছে টিম ম্যানেজমেন্ট সাকিবের ম্যাচ ফিটনেস নিয়েই খানিক চিন্তা ও ছোটখাট সংশয়ে আছে। তবে নির্বাচকদের ঘনিষ্ট সূত্রের দাবি, ম্যাচ ফিটনেসে খানিক ঘাটতি থাকলেও সাকিবকে যেহেতু শেষ টেস্টেও ২০ জনের দলে রাখা হয়েছে, তাই এবার হয়ত তাকে খেলতে দেখা যাবে।
আর দ্বিতীয় টেস্টের (৪ নভেম্বর শুরু শেষ টেস্ট) আগে আরও ৩দিন তথা ৭২ ঘণ্টা সময়ও আছে, সাকিব এ ৭২ ঘণ্টায় নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলবেন এমন আশা টিম ম্যানেজমেন্টের। তাই তার পাকিস্তানের বিপক্ষে শেরে বাংলায় শেষ টেস্টে মাঠে নামার সম্ভাবনাই বেশি।
সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ০১ ডিসেম্বর