জাতীয়

পরিবহন নেতা এনায়েত উল্লাহর সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুদক

ঢাকা, ৩০ নভেম্বর – ঢাকা সড়ক পরিবহন মা‌লিক স‌মি‌তির সাধারণ সম্পাদক এবং এনা পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার এনা‌য়েত উল্লাহ ও তার পোষ্যদের সম্পদের নথিপত্র চেয়ে সরকারি-বেসরকারি ৫৮টি ব্যাংকসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সরকারি-বেসরকারি ৫৮টি ব্যাংক, ৩০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, নিবন্ধন অধিদপ্তর, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, ডাক বিভাগ, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ পাঁচ সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ ও কক্সবাজার পৌরসভা এবং জাতীয় গৃহায়ণ অধিদপ্তরসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠানে দেওয়া চিঠিতে এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ের নামে থাকা হিসাব বিবরণীসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।

সম্পদের তথ্য-উপাত্ত যাচাইয়ের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়সাল গত ২৫ অক্টোবর চিঠিগুলো পাঠিয়েছেন।

এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ আশপাশের সড়কে চলা বাস থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠে।

এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় চলতি বছরের ১৪ জুন সম্পদের হিসাব চেয়ে এনায়েত উল্লাহকে নোটিশ পাঠায় দুদক। এরপর চলতি বছরের অক্টোবরে দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হওলাদারের কাছে সম্পদের হিসাব জমা দেন এনায়েত উল্লাহ। দাখিলকৃত সম্পদের হিসাব যাচাই-বাছাইয়ে উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়সালকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।

এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে অনুসন্ধানে নামে দুদক।

এর আগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছিলেন দুদকের তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক নুরুল হুদা।

সূত্র: সমকাল
এম ইউ/৩০ নভেম্বর ২০২১

Back to top button