পশ্চিমবঙ্গ

কংগ্রেসকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে মমতার তৃণমূল?

কলকাতা, ২৯ নভেম্বর – তৃণমূল আতঙ্কে ভুগছে ভারতের প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। এটিই স্বাভাবিক। কারণ বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস থেকে নেতাদের দলে ভেড়াচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

গোয়া, হরিয়ানা, বিহার, আসাম, উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের অনেক নেতা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এরই ধারাবাহিকতায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মেঘালয় কংগ্রেসের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাসহ ১২ জন বিধায়ক। এতে সেখানে দুর্বল হয়ে গেছে কংগ্রেস।

তৃণমূলের এমন তৎপরতায় মোটেও খুশি নয় কংগ্রেস। এটি লুকিয়ে রাখেনি দলটি। কারণ এর আগে কংগ্রেসকে এত বড় ধাক্কা দেয়নি তৃণমূল।

কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূলের এমন তৎপরতায় বিজেপি সুবিধা পাবে।

যদিও ধীরে ধীরে বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের নেতারা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় মমতার দলের শক্তি যেমন বাড়ছে তেমনই দুর্বল হচ্ছে ভারতের প্রাচীন দলটি।

২০২৪ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎপরতা শুরু করেছেন মমতা। কংগ্রেস থেকে বহু নেতা ইতোমধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে এখন কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ছেই।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, সম্প্রতি দিল্লিতে অবস্থানকালে মমতা জানিয়েছিলেন মুম্বাইয়ে গিয়ে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার এবং শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।

এর মাধ্যমে আগামী দিনে বিরোধী জোট নিয়ে নতুন সমীকরণের সম্ভাবনা উসকে দিয়েছেন মমতা। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকে সঙ্গে নিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে জোট তৈরি করতে চাইছেন মমতা। আর এটি হলে বদলে যাবে ভারতের রাজনৈতিক সমীকরণও। এক্ষেত্রে হয়তো তৃণমূলের অন্য হিসাব-নিকাশও রয়েছে।

খবরে বলা হয়, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ে বেশি আসন পেতে পারে।

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সেরা ফল ছিল ২০১৪ সালে। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৪টিতেই জিতেছিল তারা।

অন্যদিকে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৫২টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। তবে কংগ্রেসের যে অবস্থা তাতে ২০২৪ সালে কত আসন দলটি পাবে, তা বলা কঠিন।

বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের দৈন্যদশা বিবেচনায় তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অন্য রাজ্য থেকে লোকসভা আসন জিতলে কংগ্রেসের ওপর আরও চাপ বাড়বে। তখন তৃণমূল দেশের প্রধান বিরোধী দলে পরিণত হবে। যদি তা হয় বিজেপি ও কংগ্রেসের বাইরে গিয়ে বড় দল হওয়ার আশা করতেই পারে মমতার দল।

সূত্র : যুগান্তর
এন এইচ, ২৯ নভেম্বর

Back to top button