দক্ষিণ এশিয়া

অবশেষে ভারতের লোকসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাশ

নয়াদিল্লী, ২৯ নভেম্বর – ভারতে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে একটি বিল দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়েছে। সোমবার বিলটি উত্থাপনের পর পরই পাশ হয়ে যায়।

এ তিন আইন বাতিলের দাবিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ভারতের কৃষকরা। আনন্দবাজার অনলাইন জানায়, বিরোধী দলগুলোর প্রবল হইচইয়ের মধ্যে লোকসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাশ হয়ে যায়।

কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবিতে শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই হই-হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখান তারা। তারপর সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতবি করে দেন স্পিকার।

পরে লোকসভা অধিবেশন আবার শুরু হতেই ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, ২০২১’ পেশ করেন ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। ধ্বনিভোটে তা সঙ্গে সঙ্গেই পাশ হয়ে যায়।

বিরোধীরা কৃষি আইনের উপর আলোচনার যে দাবি করেছিল, তা খারিজ করে দেয় সরকার পক্ষ। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, সোমবারই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল রাজ্যসভায় পেশ করা হবে।

এদিকে এখনও দিল্লি সীমানায় বসে আছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মৌখিকভাবে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি ছিল, সংসদে আনুষ্ঠানিক প্রত্যাহার না হওয়ার পর্যন্ত অবস্থান চলবে।

হিন্দুস্তান টাইমস অনলাইনের খবরে বলা হয়, শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে রোববার সর্বদলীয় বৈঠকেও কৃষি আইন প্রত্যাহার বিলের প্রসঙ্গ তোলে কংগ্রেস।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খারগে। শুধু আইন প্রত্যাহার নয়, কৃষি উৎপাদনে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আইন আনার ব্যাপারে চাপ দিতে বদ্ধপরিকর বিরোধীরা। তবে সেই চাপে মাথা নত করতে নারাজ ভারতের কেন্দ্র।

প্রসঙ্গত, গত এক বছর ধরে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন ভারতের হাজার হাজার কৃষক। বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন এমএসপি আইনের দাবি তুলেছে।

এই আবহে মোদির ঘোষণা অনুযায়ী লোকসভায় পাশ হয়েছে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। এরপর রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হলে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে সইয়ের জন্য। তখনই আইনত বাতিল হবে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন। তবে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই এমএসপি নিয়ে চাপ দেয়ার কৌশল অবলম্বন করেছে বিরোধীরা।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ২৯ নভেম্বর

Back to top button