চট্টগ্রাম, ২৯ নভেম্বর- চট্টগ্রামে চতুর্থ দিনের সকালটা ধাক্কা খেয়ে শুরু হলেও লিড বাড়ানোর মিশনে সফল হতে পেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাসের ব্যাটেই বাংলাদেশ স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেছে। যদিও হাফসেঞ্চুরি করেই বিদায় নিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের লিড দাঁড়িয়েছে ২০১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৯ উইকেটে ১৫৭ রান।
সোহানের বিদায়ের পর পরই ফিরেছেন লিটন। ৫৯ রান করা এই ব্যাটারকে এলবিডাব্লিউতে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। একই ওভারে গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন রাহীকেও। ক্রিজে আছেন তাইজুল (০) ও এবাদত (০)।
চট্টগ্রামে তৃতীয় দিনের এলোমেলো বিকালের পর চতুর্থ দিনের সকালটা হয়েছে ধাক্কায়। ২টি উইকেট পড়ে গেলেও প্রথম সেশনে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ৭৬ রান যোগ করতে পেরেছে। মধ্যাহ্নভোজনের পর লিটন-সোহান জুটি দ্রুত গতিতে রান যোগ করতে থাকেন। ৩৮ রানের এই জুটি ভাঙেন সাজিদ। নুরুল হাসান মেরে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১৫ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার।
-
ঢাকায় পৌঁছেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল8 ঘন্টা ago
-
মাঠে ফিরেছেন সাকিব, শুরু করেছেন অনুশীলন2 দিন ago
দিনের প্রথম ওভারেই ফিরে যান মুশফিকু রহিম। অথচ লিড বাড়ানোর মিশনে টিম বাংলাদেশ তার দিকে তাকিয়ে ছিল। হাসান আলীর প্রথম ওভারে চার মেরে শুরু করেছিলেন তিনি। এক বল বিরতি দিলে তৃতীয় বলে ঘটে অঘটন। হাসান আলীর ইনসুইঙ্গারে পুরোপুরি ধোঁকা খেয়েছেন। বল ছেড়ে দেওয়ার জন্য মুশফিক দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু বল এত ভেতরে ঢুকে অফ স্টাম্প উপড়ে যাবে তিনি বোধহয় ভাবেননি! ফেরার আগে ৩৩ বলে ১৬ রান করেছেন মুশফিক।
তার পর লিড বাড়ানোর তাড়নায় জুটি গড়ে খেলেছেন লিটন-ইয়াসির। এই জুটিই মূলত রান বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই জুটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি ইয়াসির রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরলে।
ইনিংস মেরামতের পথে ৩০তম ওভারে শাহীনের শর্ট বল হেলমেটে লাগে ইয়াসিরের। তখনও ব্যাট করে যাচ্ছিলেন। পরের ওভারে আর ক্রিজে থাকেননি। রিটায়ার্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন। তার আগে লিটনকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছেন ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি। এর পর মিরাজ-লিটন মিলে ২৫ রান যোগ করেছেন। হতাশা বাড়িয়ে দেওয়া এই জুটি ভাঙেন অফস্পিনার সাজিদ খান। মিরাজ এলবিডাব্লিউতে ফিরেছেন ১১ রান করে। রিভিউ নিয়েও তিনি বাঁচতে পারেননি।
ইয়াসির সাজঘরে ফিরলে তার কনকাশন বদলি হয়ে নামেন নুরুল হাসান সোহান। তার পর লিটনের সঙ্গী হয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন।
বাংলাদেশ মূলত বিপদে পড়ে যায় তৃতীয় দিন বিকালে। চার ওভার পর্যন্ত শাহীন-হাসানদের গতি সামলান দুই ওপেনার। পঞ্চম ওভারে গিয়ে আর পারেননি ওপেনার সাদমান। তাকে এলবিডব্লিউতে সাজঘরে ফিরিয়েছেন শাহীন। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি তখন। এক বল পর নাজমুল শান্তকে আব্দুল্লাহ শফিকের ক্যাচ বানান তিনি।
দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়ে যান অধিনায়ক মুমিনুল। তাকে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরিয়েছেন হাসান আলী। লিডিং এজ হয়ে বল জমা পড়ে আজহার আলীর হাতে। তাতে টানা দুই ইনিংসে ব্যর্থ হলেন অধিনায়ক।
১৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে গেলে মনে হচ্ছিল সাইফ-মুশফিক প্রতিরোধ গড়ে খেলবেন। সেটাও করা যায়নি শাহীন আফ্রিদির কারণে। প্রথম ইনিংসের মতো বাউন্সারেই সাইফকে কাবু করেছেন এই পেসার। সাইফ ফিরেছেন ১৮ রান করে।
২৫ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেছেন মুশফিকুর রহিম। সঙ্গী হন ইয়াসির আলী। কিন্তু মুশফিক ফিরে গেছেন দিনের শুরুতেই।
বাংলাদেশকে ৩৩০ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে দেওয়ার পর পাকিস্তানও বেশি সুবিধা করতে পারেনি নিজেদের ইনিংসে। তাইজুলের ঘূর্ণিতে গুটিয়ে যায় ২৮৬ রানেই।