ব্যক্তিত্ব

জানেন কি কোন ধরনের মানুষেরা সোসাল মিডিয়ায় একেবারে আসতেই চায় না?

আজকের দিনে ফেসবুক টুইটারে নেই, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। যারা এমনটা বিশ্বাস করেন, তাদের ভুল ভাঙতেই এই প্রবন্ধটি লেখা। কারণ একাধিক সমীক্ষায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে এক শ্রেণীর মানুষেরা একেবারেই সোসাল মিডিয়ায় আসতে চান না। কারা এমনটা করেন? এক্ষেত্রে কী কারণই বা দায়ী থাকে?

চলুন একটু খোঁজ খবর নেওয়া যাক এই ব্যাপারে। সমীক্ষাগুলির রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যারা খুব খুশি থাকেন, তারা সাধরণত খুব একটা সোসাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ হন না। কেন? খুশি থাকার সঙ্গে ফেসবুক না করার সম্পর্কই বা কী? সে সম্পর্কেই নিচে আলোচনা করা হল।

কারণ ১: আসলে যারা নিজের দুনিয়ায় খুব খুশি মনে থাকেন তারা সাধারণত নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে চান না। তাই তো সোলাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রবেশের উপর সব সময় নিয়ন্ত্রণ রেখে দেন। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটা অন্ধ বিশ্বাসও অনেক ক্ষেত্রে দায়ি থাকে। অনেকেই মনে করেন খুশির মুহূর্ত সোসাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলে কু-নজর লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তো ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম থেকে দূরে থাকতেই এরা বেশি পছন্দ করেন।

কারণ ২: সোসাল মিডিয়ায় আসা-যাওয়া করা মানেই সময় নষ্ট হওয়া, এমন ভাবনার কারণেও অনেকে এই সবের থেকে দূরে থাকেন।

কারণ ৩: ফেসবুকে কোনও বন্ধুকে বেরাতে যেতে দেখলেই আমাদেরও এমনটা করতে ইচ্ছা করে। কারণ আমাদের জীবন অনেকাংশেই সোসাল মিডিয়ার নানা পোস্ট দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। কিন্তু সবারই যে এমন, তা নয় কিন্তু! এমনও অনেকে আছেন, যাদের উপর সোসাল মিডিয়ার এই সব আপডেটের কোনও প্রভাবই পরে না। কারণ জীবন থেকে এরা কী চান, সে বিষয়ে এদের স্পষ্ট ধারণা থাকে। তাই তো এমন মানসিকতার মানুষেরা সোসাল মিডিয়া প্লাটফর্মে বেশি সামাজিত হতে চান না।

কারণ ৪: আরেকটা কারণেও অনেকে সোসাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকতে চান না। এক্ষেত্রে তারা মনে করেন দুঃখ বা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করলে লাভ তো কিছু হয়ই না, বরং ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই ধরণাটি যে কতটা ঠিক, তা সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষার ফলাফল দেখলেই বুঝতে পারা য়ায়।

এই সমীক্ষাটি চলাকালীন অনেকেই নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, জীবনের খারাপ সময়ের ছবি সোসাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা মাত্র একদল এই নিয়ে হাসাহাসি করেছেন, নয়তো নিজেদের মতামত দিয়ে জীবন আরও দুর্বিসহ করে তুলে তোলার চেষ্টা চালিয়েছেন। এবার বুঝতে পারছেন তো সোসাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত জীবন শেয়ার করাটা কতটা ভযঙ্কর হয়ে উঠতে পারে মাঝে মাঝে।

কারণ ৫: সোসাল প্লাটফর্মে সময় নষ্ট করলে জীবনের অনেক মূল্যবান মুহূর্ত থেকে বঞ্চিত হতে হয়। তাই তো অনেকেই ফেসবুকের নাম শুনলেই দূরে পালায়। আপনিও কি এমনটা করে থাকেন নাকি? ভাববেন না কিছু ভুল করেন। কারণ বাস্তবিকই সোসাল মিডিয়া আমাদের অনন্দ তো দিতে পারেই না। উল্টে নানা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে জীবন দুর্বিসহ করে তোলে।

কারণ ৬: অনেকেই নিজেদের তৈরি কিছু নিয়ম মেনে জীবনের গতিপথ নির্ধারণ করে থাকেন। আর সেই সব নিয়মগুলিন মধ্যে যদি একটা নিয়ম এটা হয় যে, ব্যক্তিগত জীবনকে একেবারেই জন সাধারণের সামনে নিয়ে না আসা, তাহলে কিন্তু সেই মানুষটি কিন্তু সোসাল মিডিয়ায় একেবারেই অ্যাকটিভ হবেন না।

কারণ ৭: আনন্দে থাকতে গেলে কি লোকের অনুমতির প্রয়োজন পরে? না তো! তাহলে ফেসবুকে আকারণ খুশির মুহূর্ত শেয়ার করার মানে কী! এমনা ভাবনা থেকেও অনেকে সোসাল মিডিয়ায় সেভাবে আসতে চান না।

কারণ ৮: অনেক ছেলে-মেয়েই চান না তাদের জীবনের কোনও মুহূর্ত তাদের বাবা-মা সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার কারুক। সে ব্য়াপারে তারা বাবা-মাদের জানিয়েও দেন। এই কারণেও অনেকে সোসাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকেন না। বলতে পারেন ছেলে-মেয়েরা এক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের রাস্তা দেখান।

এম ইউ

Back to top button