ক্রিকেট

শেষ ওভারের ঝড়ে টাইগারদের পুঁজি ১২৭

ঢাকা, ১৯ নভেম্বর – সেই পুরোনো ব্যাটিং, পুরো দুর্বলতা। ওপেনিংয়ে ব্যর্থতা মিডঅর্ডারে খানিকটা প্রতিরোধ। বিশ্বকাপের পরপরই নতুন শুরু প্রত্যয়ে এমন হতশ্রী ব্যাটিংয়ে শতরান পেরোনো নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল। অবশেষে সেই শঙ্কা কাটলো আফিফ-সোহান ও মেহেদীর যুগলবন্দী প্রতিরোধে। বাংলাদেশ পেল সম্মনজনক পুঁজি।

আজ শুক্রবার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে সাত উইকেটে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ২০ বলে ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন শেখ মেহেদী।

টসে জিতে ব্যাট করতে এসে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার নাঈম শেখ। তিন বলে মাত্র এক রান করেন তিনি। কিছু সময় ক্রিজে থাকলেও বেশ অস্বস্তিতে ভুগছিলেন অভিষিক্ত সাইফ হাসান। যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ততক্ষণ ব্যাটে বলে ঠিকমতো করতে পারেননি। ফিরে যান আট বলে মাত্র এক রান করে। পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি তিনি।

দলীয় ১৫ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের বিপর্যয়ে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ১৪ বলে মাত্র সাত রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের কট অ্যান্ড বোল্ড হন তিনি। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে আফিফ হোসেনকে নিয়ে ২৫ রানের জুটি গড়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১১ বলে মাত্র ৬ রান করে মোহাম্মদ নওয়াজের শিকার হন তিনি।

প্রথম দশ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪০ রান তোলার পর প্রতিরোধ গড়েন আফিফ। ১১তম ওভারে নাওয়াজের কাছ থেকে দুটি ছক্কায় ১৫ রান আদায় করেন তিনি। এরপর রানের চাকা কিছু সচল থাকলেও খানিক পরই সাজঘরে ফেরেন আফিফ। ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে রিজওয়ানের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। ৩৪ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ৩৬ রান করেন তিনি।

ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে ২২ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন নুরুল হাসান সোহান ও শেখ মেহেদী। এই যুগলের ঝড়ো রানের জুটি ভাঙেন হাসান আলী। ২২ বলে দুটি ছক্কায় ২৮ করে সাজঘরে কট বিহাইন্ডের শিকার হন সোহান। শেষের দিকে শেখ মেহেদীর।

সূত্র : আমাদের সময়
এন এইচ, ১৯ নভেম্বর

Back to top button