ঢাকা, ১৯ নভেম্বর – ২০১৮ সালে ঢাকার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়েই প্রথমবার অধিনায়কত্ব পান জামাল ভূঁইয়া। কিন্তু তার নেতৃত্বেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য ধরা দিচ্ছে না! বিশেষ করে বারবার স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় নীল হতে হচ্ছে। তাও বারবার এই ভুলের কারণে।
মালের সাফের পর কলম্বোর চার জাতি প্রতিযোগিতাতেও শেষ মুহূর্তে নিজেদের ভুলে গোল খেয়ে ছিটকে পড়তে হয়েছে। কেনই বা এমন ভুল হচ্ছে বারবার? সমাধানের পথ কী?
বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশে ফিরে ডেনমার্ক প্রবাসী ফুটবলার অনেক কথাই বলে গেলেন অকপটে।
আবারও শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বিদায়। কী বলবেন?
জামাল ভূঁইয়া: খারাপ তো লাগছেই। বারবার একই কারণে বিদায় নিতে হচ্ছে। সাফে নেপাল ও চার জাতি প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি হয়েছে। এসব না হলে তো আমরা দুবারই ফাইনালে খেলি।
দুটি প্রতিযোগিতাতেই বাংলাদেশের সামনে সুবর্ণ সুযোগ ছিল ফাইনালে ওঠার।
জামাল ভূঁইয়া: এবার তো ওরা (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) দ্বিতীয়ার্ধে একবার সুযোগ পেয়েছে। আমাদের ওপর কোনও চাপ ছিল না। ক্লিয়ার করতে পারলে হতো। তা না হয়ে বাজে পেনাল্টি হলো!
আমরা তো অনেক গোলের সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু একটির বেশি গোল করতে পারিনি। উল্টো পেনাল্টি মিস হয়েছে। কী বলবেন?
জামাল ভূঁইয়া: শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অনেক সুযোগ পেয়েছি। গোল করতে পারিনি। পেনাল্টিও মিস হয়েছে। আমরা বাজে পেনাল্টি দিয়েছি। এর আগে নেপালের সঙ্গেও তা-ই হয়েছে। এভাবে ভুল না করলে অন্য জায়গায় যেতে পারতাম।
আপনাদের কোচ তো বলেছেন শেষ পর্যন্ত মনোযোগের অভাবে দল হেরেছে। কী বলবেন?
জামাল ভূঁইয়া: আমি আর এই বিষয়ে কী বলবো। যারা ভুল করেছে তারা ভালো বলতে পারবে।
এভাবে হলে অদূর ভবিষ্যতে ট্রফি জেতা সম্ভব বলে মনে করেন?
জামাল ভূঁইয়া: যদি ছোট ছোট ভুল না করি, তাহলে ট্রফি জিততে পারবো। কিন্তু আমরা একই ভুল করি সবসময়, তাও শেষ মুহূর্তে। আসলে কোনও চাপ ছিল না। দুটো পেনাল্টি কিন্তু একই সময়ে হয়েছে।
বারবার দল বিদায় নিচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে একটু বেশি খারাপ লাগারই কথা?
জামাল ভূঁইয়া: আসলেই খারাপ লাগে। গোল করতে পারি না। গোল হয় না। এটা বড় সমস্যা। আগেও অনেকবার বলেছি। এটা মনোযোগের অভাব বলতে পারেন। কুল ফিনিশার নেই। গোলের সামনে কোয়ালিটি স্ট্রাইকারেরও সংকট। সামান্য ভুলের কারণে ম্যাচ হারতে হচ্ছে। এটার পরিবর্তন করতে পারলে আমরা অনেক সামনে যেতে পারবো।
আসলে আমাদের এই জায়গা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
জামাল ভূঁইয়া: ব্যক্তিগত ভুল হচ্ছে। দুটো জিনিস প্রয়োজন- কুল ফিনিশিং ও বেশি কম্পোজার। শেষ ৫ মিনিটে কোনও ভুল করা চলবে না। আরও মনোযোগী হতে হবে। গত ১০ বছর ধরে কোয়ালিটি স্ট্রাইকারের কথা বলে আসা হচ্ছে। এর জন্য এখন সবাই বিদেশি স্ট্রাইকার (প্রবাসী ফুটবলার) দেখতে চায়। আমাদেরও তেমন ফুটবলার হলে ভালো হয়।
২০০৩ সালের পর মালদ্বীপকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম গোলও করেছেন আপনি।
জামাল ভূঁইয়া: এটা অনেক ভালো অভিজ্ঞতা। অনেক দিন পর জিতেছি। আমি গোল পেয়েছি, ভালো লাগছে। তবে এটা বড় কথা নয়। ম্যাচ জিতেছি এটাই বড়। এছাড়া আমি গোল না করলেও অ্যাসিস্ট কিন্তু ঠিকই করে থাকি। তবে দল প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেলে ভালো হতো।