ঢাকা, ১৬ নভেম্বর – স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, সবার জন্য তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজের চিন্তা করছে সরকার। তবে বেশির ভাগ মানুষকে দুই ডোজ দেওয়া হয়ে গেলে ঝুঁকিপূর্ণদের দিয়ে বুস্টার ডোজ শুরু হবে। অনেক দেশ বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে। আমরাও দেব। তিনি বলেন, সরকার প্রায় ২১ কোটি টিকা কিনেছে। প্রতিদিন দেশে ১৫ লাখ টিকা প্রদান করা হচ্ছে। যদিও ৮০ লাখ দেওয়ার সক্ষমতা আছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, টিকা কার্যক্রম চলমান থাকায় দেশে মৃত্যুর হার এক ডিজিটে নেমে আসছে। অচিরেই এটা শূন্যে নেমে আসবে। আমরা শিক্ষার্থীদের ও টিকা দিচ্ছ।
আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর কড়াইল বস্তিতেও টিকা দেওয়া শুরু হলো। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষকে দেয়া হচ্ছে চীনের সিনোফার্মের উদ্ভাবিত বিবিআইবিপি-করভি টিকা। এ টিকায় এখনও অনুমোদন দেয়নি সৌদি সরকার। ফলে এই টিকা নিয়ে গেলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে প্রবাসীদের। এ সমস্যা সমাধানে সৌদি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরব বর্তমানে মডার্না, ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অনুমোদন করছে। সে জন্য বাংলাদেশ থেকে সিনোফার্মা বা সিনোভেক টিকা নিয়ে গেলে সেখানে কোয়ারেন্টিন করতে হয়। ‘এ বিষয়ে আজও আমি কথা বলেছি। তাদের বলেছি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়া সব টিকা অনুমোদন দিতে। তারা এ বিষয়ে কাজ করছে। তবে যতদিন এটা অনুমোদন না হবে, ততদিন তাদের আইন মানতে হবে।’
সূত্র: বিডি২৪লাইভ
এম ইউ/১৬ নভেম্বর ২০২১