সংগীত

গায়িকা নয় নৃত্যশিল্পী হওয়ার কথা ছিল : রুনা লায়লা

ঢাকা, ১৬ নভেম্বর – বাংলাদেশের খুব কম নায়িকাই আছেন, যারা জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার গাওয়া গানে ঠোঁট মেলাননি। তবে মজার ব্যপার হলো, রুনা লায়লা তার ৫৭ বছরের বর্ণাঢ্য সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১২ বছরের এক কিশোরের জন্য গান গেয়ে।

১৯৬৪ সালে বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলীর অনুমতি নিয়ে সাড়ে ১১ বছর বয়সে পাকিস্তানের ‘জুগনু’ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। ‘ড়িয়াসি মুন্নী মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ গানটি কণ্ঠে তোলার জন্য একটানা দুই মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিদিন সকালের নিয়মিত আয়োজন ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ একটি পর্ব সম্প্রতি ধারণ করা হয়। সেখানেই স্বাধীনতা পদক বিজয়ী রুনা লায়লা তার জীবনের নানা জানা-অজানা গল্পের ডালি মেলে ধরেন।

আগামীকাল ১৭ নভেম্বর কিংবদন্তি রুনা লায়লা’র ৬৯তম জন্মদিনকে সামনে রেখে এই বিশেষ পর্বটি প্রযোজনা করেছেন জোবায়ের ইকবাল। রুম্মান রশীদ খান ও সিঁথি সাহা’র সঞ্চালনায় বিশেষ এই ‘রাঙা সকাল’-এ রুনা লায়লা জানিয়েছেন, সংগীতশিল্পী নয়, তার হবার কথা ছিল নৃত্যশিল্পী। টানা চার বছর করাচীর বুলবুল ললিতকলা একাডেমির করাচীতে ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শেখেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত গানের মাঝেই থেকে যান।

গান গেয়েই বাংলাদেশের রুনা লায়লা ভারত, পাকিস্তানসহ উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। নব্বইয়ের দশকে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সুরকার নিসার বাজমির সুরে একদিনে ১০টি করে ৩ দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। ১৭টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করা রুনা লায়লার ভক্তদের সংগ্রহে রাখার মত বিশেষ এই ‘রাঙা সকাল’ সাজানো হয়েছে। প্রচারিত হবে রুনা লায়লা’র জন্মদিন ১৭ নভেম্বর সকাল ৭টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ১৬ নভেম্বর

Back to top button