ক্রিকেট

ফাইনালে উইলিয়ামসনের ঝড়ে রেকর্ডবুকে তোলপাড়

দুবাই, ১৪ নভেম্বর – কেন উইলিয়ামসনকে দেখে মনে হয় যেন এক ‘সন্ন্যাসী’। অথচ ২২ গজে এর ঠিক উল্টোটা। আর জীবন পেলে তো কথাই নেই। জীবন পেয়ে ফাইনালের মতো মঞ্চে খেললেন ৪৮ বলে ৮৫ রানের দুর্ধর্ষ এক ইনিংস। যে ইনিংস খেলে রেকর্ডবুক তোলপাড় তুলে দিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক।

আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উইকেটে এসে সেট হতে কিছুক্ষণ সময় নেন উইলিয়ামসন। নবম ওভারে মিচেল মার্শকে টানা দুটো চার মেরে হাত খোলা শুরু করেন কিউই অধিনায়ক। এরপর ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে মিচেল স্টার্কের বলে ফাইন লেগে জস হ্যাজেলউড ক্যাচ মিস করে বানিয়ে দেন চার।

এবার আর উইলিয়ামসনকে পায় কে। জীবন পেয়ে স্টার্ককে টানা দুটো চার মারেন তিনি। দুই ওভার পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে মারেন টানা দুটো ছক্কা। আর উইলিয়ামসনের ‘রাগ’ যেন আছড়ে পড়ে স্টার্কের ওপরই বেশি। ১৬তম ওভারে অজি বাঁ-হাতি পেসারকে চারটি চার ও এক ছক্কায় ২২ রান নিয়ে ‘কালবৈশাখী’ বইয়ে দেন কিউই অধিনায়ক।

৪৮ বলে ১০ চার ও তিন ছক্কায় ৮৫ রান করার পথে রেকর্ডবুক তছনছ করে দেন উইলিয়ামসন। কুমার সাঙ্গাকারাকে ছাড়িয়ে ফাইনালে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ স্কোরে রেকর্ড গড়েন তিনি। ২০০৯ সালে লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন লঙ্কান দলপতি।

মারলন স্যামুয়েলসের সঙ্গে ফাইনালে যৌথ সর্বোচ্চ রানস্কোরারও এখন নিউজিল্যান্ড দলপতি। ২০১৬ সালে ইডেন গার্ডেনসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৫ রান করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ডানহাতি ব্যাটার।

স্টার্কের ১২ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ রান করে কোনো এক বোলারের বিপক্ষে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন উইলিয়ামসন। ২০০৯ বিশ্বকাপে ব্রেট লিকে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৬ রান করে এই তালিকায় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছেন ক্রিস গেইল।
আর ২০১৪ বিশ্বকাপে মাশরাফি মর্তুজার বিপক্ষে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করেছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। পাকিস্তানি ওপেনারের লেগেছিল তখন ১৬ বল।

সূত্রঃ জাগো নিউজ

আর আই

Back to top button