বিভিন্ন স্টাইলের সঙ্গে খোঁপার কাঁটা
সাজের বেলায় চুল না সাজালে হয়? তাই যেকোন অনুষ্ঠান বা অফিসে যেতেও চুল বেঁধে তা সাজাতে খোঁপার কাঁটার জুড়ি নেই। ঝটপট খোঁপা করে তাতে কাঁটা গুজে দিন, দেখবেন সম্পূর্ণ অন্যরকম লাগছে। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কেমন পোশাকের সঙ্গে কেমন খোাঁপা এবং কোথায় পাওয়া যায়।
সিঁথি করে মাঝখানে একহারা গড়নের খোঁপার প্রচলন কমে এসেছে এখন। বরং একটু স্টাইলিশ খোঁপার বাঁধন চোখে পড়ে। শুধু খোঁপায়ই নয়, বেণীর সঙ্গেও এ ধরনের কাঁটা ব্যবহার করতে পারেন। চুলে একটা লম্বা বেণী করে তার গোড়ার এটি গেঁথে নিলে সাজটা বৃথা যাওয়ার নয়। এই সময়ের নারীরা শাড়িকে বেছে নেন ফ্যাশনের অংশ হিসেবে। সে ক্ষেত্রে অফিসে বা বাইরে বের হওয়ার সময় সুতির শাড়িটা বেছে নেওয়া যায়। সঙ্গে একটু উঁচু করে খোঁপা। চাইলে এক পাশে সাইড নট বেঁধে নিতে পারেন। আর খোঁপায় গুঁজে নিতে পারেন হালকা নকশা করা কাঠের কিংবা ধাতব কাঁটা।
আবার জমকালো যেমন শিফন কিংবা নেটের শাড়ির সঙ্গে রুপার কাজ করা, হাতির দাঁতের কিংবা পুঁতি বসানো কাঁটা ব্যবহার করতে পারেন। চলতে পারে ধাতব কাঁটাও। এক্ষেত্রে সাইড নটের সঙ্গে মেসি বান করে নিলেও সুন্দর দেখায়। ধাতব ও কাঠের কাঁটা আপনি চাইলে ফতুয়া, কামিজ, কুর্তা ও স্কার্টের সঙ্গে পরতে পারেন। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ চুলের খোঁপা না করে উপরের অংশের কিছু চুল নিয়ে খোঁপা করলে ভালো দেখায়। সঙ্গে কপালে না হয় পরে নিলেন একটি টিপ।
তবে পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে এ ধরনের কাঁটা একটু বেমানান হয়ে ওঠে। সে ক্ষেত্রে খোঁপাটা এক পাশে একটু উঁচু করে নিয়ে এতে প্লাস্টিক, পাথর বসানো কিংবা হালকা রঙের পুঁতির কাঁটা ব্যবহার করা যায়। খোঁপার সঙ্গে পোশাক নির্বাচনও একটা বিশেষ দক্ষতা। শুধু শাড়ি বা কামিজ নয়, পাশ্চাত্য ঢঙের পোশাকের সঙ্গেও খোঁপা বা খোঁপার কাঁটা ভালো দেখায়। তবে পোশাকের সঙ্গে চেহারার গড়ন, চুলের ধরন কিংবা দৈর্ঘ্যও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।
অনেকের আবার চুল ছোট থাকে। সে ক্ষেত্রে নকল চুল দিয়ে খোঁপা করা যেতে পারে। কপাল বড় হলে সামনে থেকে কিছু চুল ব্যাংগস করে নিয়ে এক পাশে খোঁপা করলেও মানিয়ে যাবে। সবকিছু মিলিয়েই একটা পরিপূর্ণ স্টাইল তৈরি হবে।
দরদাম
কাঠ, পুঁতি, ধাতব ও প্লাস্টিকের কাঁটা যেকোনো বাজারেই পাওয়া যায়। তবে ধাতব কাঁটা নেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, পরে যাতে রং নষ্ট না হয়ে যায়। সাধারণত ঢাকার গাউছিয়া, নিউমার্কেটের বেশ কিছু দোকানে এ ধরনের খোঁপা দেখতে পারেন। এগুলোর দাম পড়বে ৩৫ থেকে ৪০০ টাকা। আর কাঠের একটু ভারী কাঁটা পাবেন ৫০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। আড়ং, বিবিয়ানা, পিরান, মাদলে পাওয়া যাবে হাতির দাঁত, মহিষের হাড় এবং উটের হাড়ের কেশ কাঁটা।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরার জন্য রুপার কাজ করা কাঁটা পাবেন ১১০০ টাকায়। যেহেতু রুপার ভরি ৯২০ টাকা, তাই এ ধরনের কাঁটার দামও একটু বেশি। আর সোনার প্রলেপ দেওয়া কাঁটাও পেয়ে যাবেন ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে।
এম ইউ