জাবিতে দ্বিতীয় দিনের ভর্তি পরীক্ষা চলছে
ঢাকা, ১০ নভেম্বর – জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দ্বিতীয় দিনের মতো প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলছে।
বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ‘এ’ ইউনিটভুক্ত জীববিজ্ঞান অনুষদের প্রথম শিফটের পরীক্ষার মধ্যদিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়। বিকেল ৪টায় ‘এ’ ইউনিটের পঞ্চম শিফটের পরীক্ষার মধ্যদিয়ে দিনের পরীক্ষা শেষ হবে।
এর আগে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এদিন পাঁচটি শিফটে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা হয়। প্রথমদিনে ৬৫ দশমিক ৭ শতাংশ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে জানান জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল জব্বার হাওলাদার।
এবার পরীক্ষার্থীদের ৪৫ মিনিটে ৬০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ ধরে ৬০ নম্বরকে আবার ৮০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে। এরসঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ভিত্তিতে ২০ নম্বর যোগ করে ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন করা হবে। এরআগে ৬০ মিনিটে ৮০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো পরীক্ষার্থীদের।
এদিকে বুধবার সকাল থেকেই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকরা ভিড় করছেন ক্যাম্পাসে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের সদস্যরা কাজ করছেন।
এছাড়া ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি কমাতে ছাত্র সংগঠনগুলোকে নানা ধরণের কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। ভর্তিচ্ছুদের যথাসময়ে কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে জয় বাংলা বাইক সার্ভিস দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শেখ রাসেল তথ্য সহায়তা কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে।
জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, ভর্তিচ্ছুদের তথ্যগত সহায়তার পাশাপাশি তাদের যে কোনো প্রয়োজনে ছাত্রলীগ পাশে রয়েছে।
ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের নেতাকর্মীরা ভর্তি তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্রের পাশাপাশি শহীদ তাজুল মোটরবাইক দিয়ে ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে সহায়তা করছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলা সমিতি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো পরীক্ষা চলাকালে ভর্তিচ্ছুদের ব্যাগ, মুঠোফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিনামূল্যে গচ্ছিত রাখার সেবা দিচ্ছে। এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে ভর্তিচ্ছুদের আবাসনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মো. মহিউদ্দিন বলেন, সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার সূচিতে দেখা গেছে, ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষার পর ১১ নভেম্বর ‘এইচ’ ইউনিটের অধীনে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং ‘জি’ ইউনিটের অধীনে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ভর্তি পরীক্ষা হবে।
পরে ১৪ নভেম্বর ‘বি’ ইউনিটের অধীনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, ১৫ নভেম্বর ‘এফ’ ইউনিটের অধীনে আইন অনুষদ এবং ‘আই’ ইউনিটের অধীনে বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট, ১৬ নভেম্বর ‘ই’ ইউনিটের অধীনে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ, ‘সি-১’ ইউনিটের অধীনে কলা ও মানবিক অনুষদ (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগ) এবং ১৮ নভেম্বর ‘সি’ ইউনিটের অধীনে কলা ও মানবিক অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এছাড়া ২০ ও ২১ নভেম্বর ‘এ’ ইউনিটের অধীনে গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর ভর্তিচ্ছুদের নয়টি ইউনিটের জন্য পৃথকভাবে ফরম পূরণ করতে হয়েছে। এক হাজার ৮৮৯ আসনের বিপরীতে তিন লাখ আট হাজার ৬০৬ আবেদন জমা পড়েছে। সে হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬৩ শিক্ষার্থী।
এরমধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৬৮ হাজার ২০২ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৩৭ হাজার ৮৪৭ জন, ‘সি’ ইউনিটে ৪১ হাজার ৬৭৭ জন, ‘সি-১’ ইউনিটে ১০ হাজার ২৬৮ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন ফরম পূরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।
এছাড়া ‘ডি’ ইউনিটে ৬৯ হাজার ১২৯ জন, ‘ই’ ইউনিটে ১৮ হাজার ৩৩ জন, ‘এফ’ ইউনিটে ২৪ হাজার ৭৩ জন, ‘জি’ ইউনিটে আট হাজার ৮৬১ জন, ‘এইচ’ ইউনিটে ২৩ হাজার ২৪০ জন এবং ‘আই’ ইউনিটে ছয় হাজার ৭১০ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন।
সূত্রঃ জাগো নিউজ
আর আই